ভাষা আন্দোলনের অজানা ইতিহাস নিয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২২ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি নিয়ে প্রকাশিত ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ শীর্ষক সিরিজ গ্রন্থগুলোর মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা প্রকাশিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের এখনো অনেক অজানা ইতিহাস রয়েছে। এ নিয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও গবেষণা জরুরি। আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের আগে ১৯৪৭ সালের ৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষার টিকে থাকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বলে জানা যায়। উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা-মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর এ ঘোষণার মধ্য পরে বঙ্গবন্ধুর আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়। কে এম খালিদ বলেন, ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও ইতিহাস রয়েছে। এসব বিষয়সহ ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে বিশদ গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন।
অনুষ্ঠানে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সংরক্ষিত ডকুমেন্ট থেকে ১৯৪৮-১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি বিষয়ে পত্রপত্রিকার আলোকে উপস্থাপন করেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক মো. দাউদ মিয়া।