1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

মন্ত্রী-উপদেষ্টার ফোনালাপের বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১.৫৮ এএম
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের (সালমান এফ রহমান) মধ্যকার ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়বস্তু জাতির সামনে উপস্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি জানান।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতে চাই, ফোনালাপে কী বলা হয়েছে? মন্ত্রী নিজে বলেছেন, এই ফোনালাপ কীভাবে ফাঁস হলো তার তদন্ত করা হবে। অর্থাৎ, তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন এই কথোপকথন সত্য। আমরা দাবি করছি, ফোনালাপে যেসব বিষয়ে কথা বলা হয়েছে তার তদন্ত হোক। আমরা জানতে চাই, এই বিশেষ প্রজেক্ট, ব্রেইন চাইল্ড প্রজেক্ট এবং অন্যান্য যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বলা হয়েছে তা জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। না হলে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যেই দেশের মানুষ গণতন্ত্র চেয়েছে, সেই দেশকে আজ আন্তর্জাতিকভাবে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। কত বড় লজ্জার কথা। আজ বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কারণ, তারা এই সরকারের নির্দেশে গুম, খুন করছে।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হলে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করে একটা জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সময় খুব কম, দ্রুত নিজেদের সংগঠিত করতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অতি দ্রুত এই ভয়াবহ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে হবে। এই সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না। বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এই অবস্থায় ৫২-র ভাষা আন্দোলন ও ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার তারা নষ্ট করে দিয়েছে। বাংলাদেশের আত্মাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে।

খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ 

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো কারাগারে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যিনি ১৯৮১ সালের পর থেকে নতুন করে গণতন্ত্রকে জাগিয়ে তুলেছেন, যিনি ৯ বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সেই নেত্রী খালেদা জিয়াকে এখনো কারাগারে আটকে রেখেছেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার আবেদন করা হচ্ছে।

প্রতিদিন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কোর্টে যাচ্ছে   

বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিদিন আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জামিন পেতে কোর্টে যেতে হচ্ছে। আজও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নেতা আব্দুস সালাম, উত্তরের নেতা আমিনুল হকসহ অনেকে এই আলোচনা সভায় আসার আগে কোর্টে গিয়েছেন জামিন আনার জন্য। আমি অবিলম্বে খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ সব নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে

সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে ভাষার জন্য বাঙালি প্রাণ দিয়েছে, সেই বাংলা ভাষাকে আমরা সব স্তরে চালু করতে পেরেছি? পারিনি। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি, তা হলো বাংলা ভাষা ধীরে ধীরে সেখান থেকে চলে যাচ্ছে। আমাদের সন্তানরা ভিন্ন পরিস্থিতিতে, ভিন্ন ভাষায় লেখাপড়া করছে। অনেকেই দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি আমরা আশা করিনি। এই সরকার বাংলাদেশের যে আলাদা পরিচিতি ছিল সেটি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দেশবাসীকে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে হবে। সরকারের পতন ঘটাতে ঐক্য গড়ে কঠোর শপথ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়তে হবে। বর্তমান সংকটের সমাধান একটাই। এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। সরকারকে বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে খালেদা জিয়াও মুক্ত হবেন না। এর জন্য সাহসের প্রয়োজন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে মাথা নত না করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

স্লোগান দিয়ে মিটিংয়ের পরিবেশ নষ্ট করবেন না 

নেতা-কর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে বিরক্ত হয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, স্লোগান দিয়ে কী বোঝাতে চান? স্লোগানে মিটিংয়ের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। কোথায় কোন স্লোগান দিতে হয় তাও আপনারা জানেন না। স্লোগান দিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। রাজপথে স্লোগান দিয়ে, রক্ত দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব, এই শপথ নিতে হবে।

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com