পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলা হামলার লাগাম টানতে রাজি হয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্রবিরতির জন্য কাজ করতে সম্মতি জানিয়েছেন রুশ এই প্রেসিডেন্ট।
ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তারা চলমান সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের পক্ষে এবং তা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে এলিসি প্রাসাদের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সংকট ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ‘যেকোনো সময়’ দেখা করতে ইচ্ছুক। একই সঙ্গে রাশিয়া প্রতিবেশি ইউক্রেনে আক্রমণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক টকশোতে অংশ নিয়ে অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, আমরা যা দেখছি তা থেকে বোঝা যায় যে, এটি অত্যন্ত গুরুতর, আমরা একটি আগ্রাসনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি।
‘তবে যতক্ষণ ট্যাংকগুলো আসলেই না এগোচ্ছে এবং বিমান না উড়ছে; ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকটি সুযোগের ব্যবহার করব। প্রতি মিনিটে আমাদের দেখতে হবে যে, কূটনীতি এখনও প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এসব এগিয়ে নেওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে কি-না।’
আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ‘ফেইস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ব্লিনকেন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একেবারে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তিনি যেকোনো সময়, যেকোনো কাঠামোতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে দেখা করতে প্রস্তুত; যদি তা যুদ্ধ ঠেকাতে সাহায্য করে।
সূত্র: এএফপি।