আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সারের দাম। এজন্য আমদানিতে ব্যয় বেড়েছে। ফলে অতিরিক্ত ভর্তুকি লাগছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। এ ইস্যুতে সরকার উভয় সংকটে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারের মজুত, দাম, ভর্তুকিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বিগত বছরের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বাড়লেও বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারে কৃষক পর্যায়ে সারের দাম বাড়ায়নি। অব্যাহতভাবে ভর্তুকি দিয়ে সুলভ মূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে। এবছর সরকারকে বাজেটের ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকার স্থলে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।
ইতোমধ্যে ১৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে— উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকি লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। এত বিশাল অংকের ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে, এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এত ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে, অন্যদিকে সারের দাম বাড়লে কৃষকের কষ্ট বাড়বে, উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।
করোনা পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি ছাড়াও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় জাহাজ ভাড়াও প্রায় দুই গুণ বেড়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উভয় সংকটে সরকার৷ তবে বিশ্বের অনেক দেশ খাদ্য সংকটে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।
কৃষিমন্ত্রী জানান, সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়াতে ৮২ টাকা, টিএসপিতে ৫০ টাকা, এমএপবে ৪১ টাকা এবং ডিএপিতে ৭৯ টাকা