সিএনএম প্রতিবেদকঃ
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের হাতে গড়া ফাউন্ডেশন প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিডব্লিউসিএসপি) পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অনুমোদন ও প্রত্যয়ন দেওয়ার অনুমতি ফিরিয়ে দেওয়া না হলে রাজধানী ঢাকার বাসাবাড়ির ময়লা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠন। পাশাপাশি ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর রুটি-রুজির প্রশ্নে ‘বর্জ্যের টেন্ডার’ বন্ধের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাফনের কাপড় পরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তারা এ হুমকি দেন। কাপনের কাপড় পরে ময়লার টেন্ডার বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
সংগঠনের সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী বলেন, ঢাকার বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটি শুধু নির্ধারিত কনটেইনার থেকে ল্যান্ড ফিলে ময়লা অপসারণের কাজ করছে। তাদের যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শুধুমাত্র শহরের প্রধান প্রধান সড়কে ঝাড়ু দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে (পিডব্লিউসিএসপি) প্রায় ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী নাগরিকদের বাসাবাড়ির ময়লা সংগ্রহ করে সিটি করপোরেশনের কন্টেইনারে পৌঁছে দেয়। এজন্য শুধুমাত্র সেবা মূল্য হিসেবে আমরা ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে নিতাম। যা দিয়ে কর্মীদের বেতন-ভাতা ও অফিস ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হতো।
সভাপতি বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের ময়লা সংগ্রহের কাজ টেন্ডারে দিয়ে দিয়েছে। এতে দক্ষিণ সিটিতে ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী বেকার হয়েছে। টেন্ডারে দেওয়ার কারণে দক্ষিণ সিটিতে নাগরিকদের হয়রানি আরও বেড়েছে। ২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ময়লার বিল ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাধর কাউন্সিলর বা ঠিকাদারদের লোকজন সেই ১০০ টাকার পরিবর্তে কোথাও কোথাও ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে।
নাহিদ আক্তার লাকী বলেন, দুই মেয়রের আচরণে হতবাক হয়েছি। বহুবার মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেননি। আমাদের কোনো কথাও শুনতে রাজি হননি। তারা চান এই ময়লা সংগ্রহের সেবামূলক কাজকে টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যবসায় পরিণত করে কাউন্সিলরদের হাতে তুলে দিতে।
সভাপতি নাহিদ আক্তার লাকী বলেন, সাত দিনের মধ্যে টেন্ডার বাতিল করে সিটি করপোরেশন কর্তৃক অনুমোদন ও প্রত্যয়ন ফিরিরে না দিলে নগরীর বাসাবাড়ির ময়লা নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। (পিডব্লিউসিএসপি) প্রত্যয়ন ফিরে দিতে হবে। ময়লা সংগ্রহ কাজের অধিক দামের টেন্ডার বন্ধ করতে হবে।