মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়া থেকে ইতালির ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসা যাওয়ার পথে হাইপোথার্মিয়ায় (শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া) সাত বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে অনেক দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে রোম বাংলাদেশ দূতাবাস।
ইতোমধ্যেই স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করেছে দূতাবাস। মরদেহগুলো দেশে পাঠাতে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তবে ইতালির যে বিমানবন্দর থেকে মরদেহগুলো দেশে পাঠানো হবে সেখানে ফ্লাইটের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর ফলে হয়তো কয়েক দিন বেশি সময় লাগতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোম বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রমকল্যাণ) মো. এরফানুল হক জানান, দেশে মরদেহ পাঠানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিমানের টিকিট পেলেই মরদেহ দেশে পাঠানো শুরু হবে। তবে কাতানিয়া থেকে সপ্তাহে একটি মাত্র বিমানে সর্বোচ্চ ২টি মরদেহ পরিবহন করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘ সময় লাগবে। তাই মরদেহগুলো রোম হয়ে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া বাংলাদেশিরা হলেন- মাদারীপুরের ইমরান হোসেন, জয় তালুকদার ওরফে রতন, সাফায়েত, জহিরুল, বাপ্পী। আরও আছেন সুনামগঞ্জের সাজ্জাদ ও কিশোরগঞ্জের সাইফুল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইতালি প্রবাসী বলেন, যেহেতু পথটি খুবই ভয়ংকর, জীবনের স্বার্থে এটিকে পরিহার করা উচিত। তবে অনেকেই জীবনের স্বচ্ছতা এবং পরিবারের সুখের আশায় অনিশ্চিত এ পথে এসে অকালে প্রাণ হারান।
উল্লেখ্য, ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় সাত বাংলাদেশি মারা যান। মারা যাওয়া এসব বাংলাদেশির পরিচয় তাৎক্ষণিক ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি বলে পরিচয় শনাক্তকরণে বেশি সময় লেগে যায়। তবে চলমান কাজের ধারাবাহিকতায় রোম বাংলাদেশ দূতাবাস মরদেহ দেশে পাঠানোর সব কাজ সম্পন্ন করেছেন।