বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ারে অগুণতি রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। তবে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের রেকর্ডের সেই সাম্রাজ্যে বেশ কিছু হানা পড়তে শুরু করেছে শেষ কিছু দিনে। সবশেষ হানাটা পড়েছে তার বন্ধু লুই সুয়ারেজের। উরুগুইয়ান এই ফরোয়ার্ডের কাছেই আরও একটা রেকর্ড হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে মেসির।
দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা এতদিন ছিল মেসির দখলে। সেই রেকর্ডটাই এবার পড়ে গেছে ভাঙনের মুখে। গত শুক্রবার সকালে উরুগুয়ের একমাত্র গোলটি করে তিনি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মেসির, দলকে এনে দিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ জয়। এর ফলে উরুগুয়ের বিশ্বকাপ আশাও টিকে রইলো ভালোভাবেই।
সুয়ারেজ নিশ্চয়ই এই গোলটাকে ব্যক্তিগতভাবেও মর্যাদা দেবেন বেশ। এই গোলটাই যে রেকর্ডে ভাগ বসাতে সাহায্য করেছে তাকে, পাশে এনে বসিয়েছে মেসির! বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুই তারকার গোলই এখন সমান ২৭টি করে। সুয়ারেজ অবশ্য খেলেছেন একটি বেশি ম্যাচ। তিনি খেলেছেন ৫৯টি ম্যাচ, আর মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৫৮ ম্যাচে।
আরও একটা কারণে সুয়ারেজের কাছে এই গোলটা হতে পারে বিশেষ কিছু। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে শেষ ১৫ ম্যাচে তিনি গোল করেছিলেন একটি। যার ফলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে অ্যান্টোয়ান গ্রিজমান ও জাও ফেলিক্সদের কাছে প্রতিনিয়তই জায়গা হারাচ্ছেন তিনি। এই গোলটা হারানো ফর্মের খোঁজটা পাইয়ে দিলেও দিতে পারে তাকে।
সুয়ারেজের সামনে এখন মেসির সেই রেকর্ডটা একান্ত নিজের করে নেওয়ার হাতছানি। কারণ মেসি চলতি আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলছেন না, করোনা থেকে সেরে উঠে তিনি সেরা ফর্ম ফিরে পেতে পিএসজিতেই করছেন অনুশীলন। ওদিকে আগামী মঙ্গলবার সকালে নিজেদের মাঠে ভেনেজুয়েলাকে আতিথ্য দেবেন সুয়ারেজরা। সেই ম্যাচে গোল করলেই মেসিকে দুইয়ে ঠেলে তিনি বনে যাবেন কনমেবল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
তবে সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটা গড়তে অবশ্য আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে। মধ্য আমেরিকান দল গুয়াতেমালার ফরোয়ার্ড কার্লোস রুইজ ৩৯ গোল নিয়ে আছেন তালিকার শীর্ষে।
দুইয়ে আছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইউরোপিয়ান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনি গোল করেছেন ৩৬টি। পরের দুটো জায়গা দখল করে আছে এশিয়া। এ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যথাক্রমে ৩৪ ও ২৮ গোল করে আলী দাইয়ী ও কারিম বাগারি আছেন তালিকার তিনে ও চারে। পঞ্চম জায়গাটা আবার ইউরোপের। রবার্ট লেভান্ডভস্কি ২৯ গোল করে দখল করে আছেন জায়গাটি। এরপরই জায়গা করে নিয়েছেন লিওনেল মেসি ও লুই সুয়ারেজ।