1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

মায়ের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণ বেড়েছে ১.৪ শতাংশ

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২, ১.২৫ পিএম
  • ১৮১ বার পড়া হয়েছে

গত এক বছরে দেশে মায়ের কাছ থেকে সংক্রমিত হওয়া এইচআইভি/এইডস রোগী বেড়েছে প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ। একইসঙ্গে এইডস সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বাড়ছে নারীদের মধ্যে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘স্যামপল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২০’ প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।

২০১৩ সাল থেকে এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের জ্ঞান সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে আসছে বিবিএস। সংস্থাটির ২০২০ সালের তথ্যানুযায়ী শতকরা ৮১ দশমিক ৫ জন নারী এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান রাখে না। যা ২০১৯ সালে ছিল ৭৯ দশমিক ৭ শতাংশ।

অন্যদিকে, সবগুলো বাহক সম্পর্কে অবগত ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। যা ২০১৯, ১৮, ১৭ ও ১৬ সালে যথাক্রমে ছিল ৩৫ দশমিক ৫, ৩৪ দশমিক ৬, ৩৫ দশমিক ৫ ও ২৯ দশমিক ১ শতাংশ। সুতরাং দিন দিন এইচআইভি/এইডস বাড়ছে।

গত ১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এইচআইভি/এইডস বিষয়ক সংস্থা ইউনিএইডস জানিয়েছে, বাংলাদেশে জনসংখ্যার বিচারে এখনও বেশি না হলেও এইডস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ০ দশমিক ১ শতাংশ, যা সংখ্যার হিসেবে ১৪ হাজারের বেশি।

সংস্থাটি জানায়, এইডসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে ২০৫ জনের। বাংলাদেশে এইডস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৮৮ জনের। আর বর্তমানে দেশে প্রায় আট হাজার রোগী চিকিৎসার আওতায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিএইডস।

সূত্র জানিয়েছে, নতুনভাবে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২১৮ জন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৭ জন, খুলনায় ৬৪ জন, সিলেটে ৪৫ জন, বরিশালে ২৮ জন, রাজশাহীতে ২৭ জন এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ১৫ জন শনাক্ত হয়েছেন।

নতুন আক্রান্তদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে, ৭৪ দশমিক ২০ শতাংশ ২৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে, ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে এবং ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।

‘শিশু, এইচআইভি ও এইডস : ২০৩০ সালের বিশ্ব’ প্রতিবেদনে ইউনিসেফ বলেছে, এইডস-সম্পর্কিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে এইচআইভি প্রতিরোধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রকল্পে বাড়তি বিনিয়োগ করা না হলে প্রতিদিন ৭৬ জন কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান ধারা বজায় থাকলে এইচআইভিতে আক্রান্ত শূন্য থেকে ১৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে আনুমানিক ২ লাখ ৭০ হাজারে পৌঁছাবে। যা বর্তমানের অনুমানের চেয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম। বাংলাদেশেও এইডসের বর্তমান পরিস্থিতি প্রায় একই রকম বলে জানায় ইউনিসেফ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। এরপর থেকে ১০, ২০, ১০০ বা ২০০ জন করে নতুন রোগী প্রতিবছর শনাক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন রোগী বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬৯ জনে। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক রোগী মারা যায় ২০০০ সালে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে আরও ৭২৯ জনের দেহে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী ১৮৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে এইচআইভি আক্রান্ত সম্ভাব্য রোগীর সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি। গত বছরে আক্রান্ত নতুন রোগীর মধ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ১৮৬ জন, বিদেশ ফেরত প্রবাসী ১৮৮ জন, বিদেশ ফেরতদের পরিবারের ১৪৪ জন, ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন, নারী যৌনকর্মী ১৭ জন, সমকামী ৬৭ জন, পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন এবং ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও টিবি-লেপ্রোসী ও এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. খুরশীদ আলম বলেন, দেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার কম, মাত্র ০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। সংক্রমণের হার কম হলেও ঘনবসতি, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন এবং অসচেতনতার কারণে এইচআইভির ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় এইচআইভি সংক্রমণের হার অনেক বেশি হওয়ায় দেশের ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের পর থেকে করোনার কারণে বৈধ এবং অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া অনেকেই দেশে ফিরেছেন। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, সরকারি তথ্য মতে, নতুন শনাক্ত হওয়া এইডস রোগীদের মধ্যে অভিবাসী কর্মীর সংখ্যা বেশি। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও সংক্রমণের হার বেশি। কিন্তু এই সময়ে করোনা এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের প্রতিই সরকারের মনোযোগ ছিল। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, পরীক্ষার বাইরে কিছু জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে।

এছাড়াও কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে, অভিবাসীদের অনেকেই এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরছেন। প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান মতে, এই সময়ের জরিপে এইচআইভিতে আক্রান্ত নতুন রোগীদের ৩০ শতাংশ অভিবাসী কর্মী বা তার পরিবারের সদস্য।

মায়েদের সংক্রমণের হার বেশি হওয়ার প্রসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. জাহিদুল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দেশের এইচআইভি রোগী কম। এরমধ্যে যেগুলো হয়েছে বা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই বিদেশ ফেরত। প্রবাসীদের যখন এইডস হয়, তখন তারা নিজেরও জানে না। বেশির ভাগ প্রবাসীই বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করে বা সন্তান নেয়। সেখান থেকেই মায়েদের এবং সন্তানের শরীরে যায়। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যা। এটা আমার নিজের চোখে দেখা।’

তিনি বলেন, ‘এইডস বেশির ভাগ থাকে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও ইতালিতে। বেশিরভাগ মানুষই জানে না তাদের এইডস হয়েছে। জানলেও বিভিন্ন কারণে গোপন রাখেন। এইডস দুইভাবে ছড়ায়, শারীরিক মিলন ও রক্তের মাধ্যমে। দেশে এতদিন পর্যন্ত যতজন নারী আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের কেউই সরাসরি হননি। প্রত্যেকেই আক্রান্ত হয়েছে শারীরিক মিলনের মাধ্যমে। এই রোগে আক্রান্ত নারীরা অপুষ্টিজনিত সন্তান জন্ম দেয়। অনেক সময় সন্তান পেটে থাকতেই মারা যায়। আমাদের কাছে আসা রোগীগুলো একদম শেষ পর্যায়ে আসে এবং তখন আর কিছু করার থাকে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদুল কবির বলেন, ‘একমাত্র সচেতনাই পারে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে। আর স্ক্রিনিং টেস্ট বাড়াতে হবে। দেশে এইডসের ঝুঁকি কম, রোগী বেশি। পাশের দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করলে যেকোনো সময় এইডস বাড়তে পারে বাংলাদেশ। কারণ ভারত ও মিয়ানমারে এইডসের প্রচুর রোগী আছে। এজন্য প্রথমেই সচেতনতা বাড়িয়ে স্ক্রিনিং টেস্ট বাড়াতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে দুই-একটি এনজিও ছাড়া সেরকম কোনো কর্মসূচি নেই। এইডস নিয়ে কর্মসূচির প্রয়োজন। এটি এমন একটা জিনিস, যেটার কর্মসূচি থাকলে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা অনুদান হিসেবে টাকা দেয়। আমাদের বিদেশি ফান্ড আসে ঠিকই। কিন্তু এই টাকা হয়ত ফেরত যায়, নয় তো তারা খেয়ে ফেলে।’

তিনি বলেন, ‘যারা টাকা নিচ্ছে, তারা তো এক্সপার্ট না। দেশে কমন সমস্যা হচ্ছে, যেই কাজটা যারা জানে, সে কাজে তাদের লাগানো হয় না। যার যেই চেয়ারে বসার কথা, তারা তো সেই চেয়ারে নেই। আমরা যারা কাজ করছি তাদের এক কোনায় ফেলে রেখেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার জন্য যেই ল্যাব কেনা হয়েছে সেগুলো চাইলে এইডস টেস্টের কাজে লাগানো যায়। শুধু এইডসের কিট দিলেই এই পিসিআর মেশিনে টেস্ট করা যাবে। এইডসের টেস্ট কমিউনিটি বেজড করতে হবে। স্ক্রিনিং টেস্ট সুস্থ মানুষকে করা হয়। এই রোগের চিকিৎসা কমিউনিটি থেকেই উঠে আসতে হবে।’

এইডস নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো ডাটাবেজ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছু নেই। আমি কয়েকদিন আগে একটি আর্টিকেল লিখতে চেয়েছিলাম, আমাকেও দিতে পারেনি। আপনি যোগাযোগ করে দেখতে পারেন, কিছু দিতে পারবে না। কারণ এটা নিয়ে কোনো কাজ হয় না। তবে মিডিয়াতে এটা নিয়ে লেখালেখি করতে হবে। এজন্য আমি আবারও বলছি, আমাদের এখনই সচেতন হওয়া দরকার। কিছু বিষয় থাকে যেগুলো বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। এইচআইভি ঠিক তেমনি একটি রোগ। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি মিডিয়াও ভাল ভূমিকা রাখতে পারে প্রচারণার ক্ষেত্রে। সংবাদকর্মীরা এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে সচেতনতা তৈরিতে অবদান রাখতে পারে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com