কামাল হোসেনঃ
পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সচিবালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্থাসহ শারিরীক নির্যাতন ও সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ঘটনায় ফুসে উঠেছে গোটা দেশের সাংবাদিক সমাজ।
রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও নিপীড়নকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন শার্শা-বেনাপোলে কর্মরত সাংবাদিকেরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকাল ১১টার সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সামনে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি কাস্টমস হাউজের সামনে এসে পূণরায় শেষ হয়।
অবিলম্বে জেষ্ঠ্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, তাঁর বিরুদ্ধে রুজু করা মামলা প্রত্যাহার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযুক্ত অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত, ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ বাতিল ও ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ এর বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল করার আহবান জানানো হয়।
বন্দর প্রেসক্লাব বেনাপোল, সীমান্ত প্রেসক্লাব, একতা প্রেসক্লাব, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা-শার্শা, প্রেসক্লাব শার্শা, বাগআঁচড়া প্রেসক্লাব মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- প্রেসক্লাব শার্শার সাঃ সম্পাদক ইয়ানুর রহমান, বিডি নিউজের আসাদুজ্জামান আসাদ, বন্দর প্রেসক্লাব, বেনাপোলের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দিন, সাঃ সম্পাদক আজিজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান, সীমান্ত প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন, সাঃ সম্পাদক আয়ুব হোসেন পক্ষী,জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা-শার্শার সভাপতি আবুল বাশার, সাঃ সম্পাদক কামাল হোসেন, একতা প্রেসক্লাবের নজরুল ইসলাম, সুমন হোসেন, বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের আরিফুজ্জামান আরিফ, আবু সাইদ, আসাদুজ্জামান নয়ন, এম ওসমান, আসাদ, এসএম স্বপন কামাল হোসেন ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা দুর্নীতির খবর প্রকাশ করবে, এটাই স্বাভাবিক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেই দুর্নীতির খবর প্রকাশ করে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এ দেশের জনগণের উপকার করেছেন। প্রশাসনের দুর্নীতিবাজের মুখোশ উন্মোচন করে দেশের উপকার করায় তিনি আজ যেভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তা নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক।
বক্তারা আরও বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন নির্ভীক ও দুর্নীতি সঙ্গে আপোষহীন সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করা না হলে অপরাধীরাই উৎসাহিত হবে। তাই অবিলম্বে রোজিনা ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
বক্তারা প্রখ্যাত সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে সচিবালয়ে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।