বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর পোস্তগোলায় পোশাক শ্রমিক এক সন্তানের জননী গণধর্ষনের শিকারএক মাসেও মামলা হয়নি শ্যামপুর থানায় ।
গত ১০ই এপ্রিল রাসেল নামের এক ব্যক্তি রিনা (ছদ্মনাম) এক সন্তানের জননী পোশাক শ্রমিককে গার্মেন্টেসে ভালো চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পোস্তগোলার ৩৬ নং ডিআইটি এলাকার ৫ তলার একটি কক্ষে নিয়ে আট ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
ধর্ষণকারীরা ধর্ষিতাকে নানাবিধ হুমকি দিয়ে সেখান থেকে বের করে দেয়। গত ১১ই এপ্রিল ধর্ষিতা তার আত্মীয় স্বজনদের সহযোগীতায় অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা
মেডিকেল হাসপাতালের (ওসিসি) বিভাগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় এবং গত ১৩ এপ্রিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসার ছাড়পত্র দিয়ে রিলিজ করে দেন।
ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকেরা ধর্ষনকারীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ধর্ষণকারী রেজা, মারুফ আহম্মেদ রাসেল, জিয়া হাওলাদার, আবু বকর, বাবু , সাইফুল, শরিফ, বিল্লাল হোসেন- দের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে গতকাল ৯ই মে শ্যামপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন। শ্যামপুর থানার পুলিশ ধর্ষিতাকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। কিন্তু থানা পুলিশ রহস্যজনকভাবে ধর্ষণ মামলা নেয়নি।
ভোক্তভোগী নারী জানান, থানায় এজেহার দেওয়ার পর পুলিশ তাকে ৫/৬ ঘন্টা বসিয়ে রেখে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে যাওয়ার পর ঘটনা সহেযোগীদের সাথে বন্ধু সুলভ কথাবার্তা বলে তাকে নিয়ে থানায় চলে আসে।একপর্যায়ে রাত ১০ ঘটিকার সময় মামলা রুজু না করে থানা হতে ভোক্তভোগীকে বের করে দেন।
শ্যামপুর থানার ওসির সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান ধর্ষিতার দায়ের করা এজাহারটি শ্যামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষে সাথে কথাবর্তা বলে মামলা নিয়ে নেবে ।
এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত ধর্ষিতার দায়ের করা লিখিত এজাহারের বিষয়ে থানায় মামলা হয়নি।