দেশব্যাপী ব্যাপক হারে ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতীর মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ সকল বিষয় নিয়ন্ত্রন করতে হিমশীম খাচ্ছে। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রেন এ এসেছে অপরাধমূলক ঘটনা। এরই মধ্যে ০৪/০২/২০২৫ইং তারিখে এক নারী ছিনতাইয়ের কবলে সর্বস্ব হয়ে থানায় মামলা করতে গেলে এজহারপত্র পুলিশ নেওয়ার পর অদ্য পর্যন্ত ঐ ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। নিরুপায় হয়ে ঐ নারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখিত বিষয় —
বিবাদীদের সাথে আমার মামলা মোকাদ্দমা চলছিল যাহার মামল নং ০৩, ধারা৯(৩)/৩০ নারাী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০ মামলা হওয়ার পর হতেই মামলার পলাতক আসামীরা বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল।
এমতাবস্থায় গত ০৪/০২/২০২৫ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৮.১৫ মিনিটের সময় চাষাড়া মোড় হইতে সাই বাজার আমতলা অটো রিক্সা যোগে যাওয়ার সময় ভূইঘর কড়ইতলা পৌছানো মাত্র ২টি মটর সাইকেল নম্বর অজ্ঞাত অটো রিক্সার দুই পাশে এসে অটো রিক্সাটির গতিরোধ করে ৩নং বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও ৫নং বিবাদী মোঃ নজরুল ইসলাম মটরসাইকেল হতে নেমে আমাকে ৫নং বিবাদী মোঃ নজরুল ইসলাম এর হাতে থাকা আগ্নেয়অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অটোরিক্সার ভিতর থেকে টানা—হেচড়া করে নামিয়ে চড়—থাপ্পর কিল—ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। আর ৩নং বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম এর হাতে থাকা চাকু আমার গলায় ধরে হত্যা করার ভয় দেখায়।
ঐ মুহুর্তে আমার পরিবারের কাছে মোবাইল দিয়ে ফোন করার চেষ্টা করলে ৭নং বিবাদী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়া যায় ভিবো মূল্য—৩০,০০০/— টাকা। ৪নং বিবাদী মুরাদ আমার গলায় পরিহিত ০১ ভরি ওজনর স্বর্ণের প্যাচ চেইনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় মূল্য—১,৫০,০০০/— হাজার টাকা। ২নং বিবাদী মোঃ সাইফুল্লাহ আমার হাতের আঙ্গুলে পরিহিত ৪আনা ওজনের স্বের্ণের আংটি নিয়ে যায় মূল্য—১২,৫০০/— টাকা। ১নং বিবাদী মোঃ আপ্তজুল আমার ব্যানেটি ব্যাগে থাকা নগদ ৪,০০০/— হাজার টাকা নিয়ে যায়। ৬নং বিবাদী অটো রিক্সায় যাত্রী সেজে উঠে ঘটনাস্থলে গিয়ে অন্যান্য বিবাদীদের সহায়তা করে।
একপর্যায়ে সকল বিবাদীগন মিলে জোর করে আমাকে অপহরন করার চেষ্টাকালে জোরপূর্বক মটর সাইকেলে উঠনোর চেষ্টা করে তখন আমি ডাক—চিৎকার দিলে আশে—পাশের পথচারীরা আগাইয়া এলে তখন তড়িঘড়ি করে বিবাদীগন আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় এবং বলে আমি যদি তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও প্রধান উপষ্টো, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট উপদেষ্টা, আইজিপি, পুলিশ কমিশনার বরাবরে যে অভিযোগগুলো করেছি তাহা তুলে না নিলে পুনরায় আমাকে অপহরন করিয়া নিয়া হত্যা করে লাশ গুম করে ফালাইবে। উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে এজহার লিখে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জকে ২৭/০২/২০২৫ইং তারিখে দেই। পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ এর কাছে কয়েক দফা গেলে তিনি আমার ঘটনায় ব্যাপক তদন্ত করে সত্যতা পায়। এরপর ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেব আমার ঘটনার বিষয় নিয়ে আমাকেসহ তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এসি স্যারের কাছে নিয়ে যায়। এসি স্যার ঘটনার সবকিছু শোনার পর একজন অজ্ঞাতনামা এস.আইকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন। বিগত ০১ মাসে একাধিকবার এস.আই সাহেবের সাথে যোগাযোগ করি তিনি অদ্য পর্যন্ত আমার ঘটনায় মামলা নেওয়া তো দুরের কথা কোন রকম আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। আমি নিরুপায় হয়ে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি আর আসামীরা আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রহিয়াছে যে কোন সময় আমাকে অপহরণ করিয়া নিয়া লাশ গুম করিয়া ফালাইতে পারে বা আমার ও পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে এমন আশংকায় রহিয়াছি বিধায় আমার ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র জমা দেন ছদ্মনাম আয়শা।