সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বিএনপির কাউন্সিলকে ঘিরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-৫ বাবাকে নিয়ে ভারত যাওয়ার অনুমতি পেলেন অভিনেত্রী বিএনপির বৈঠক থেকে বের হয়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলেন পার্থ চোরাই বাইকের রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে বিক্রির সময় যুবক আটক নেপালে ৭টি ব্রোঞ্জ জিতেও ব্যর্থ বাংলাদেশ! নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের রায় কার্যকর না হওয়ায় ভয় ও আতঙ্কে স্বজনরা মালিবাগ সবুজ বাংলা আবাসিক হোটেল এর অন্তর্রালে পতিতালয় নারী পাচারকারীদের জিম্মি দশা হতে আটক থাকা নারীরা উদ্ধার হতে চায়। চার মাসে কুরআনের হাফেজ ১০ বছরের অটিস্টিক শিশু আহমাদ সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে জামায়াত কোনো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের আহ্বান জামায়াত আমিরের

কোর্ট চত্বরে নাটকীয় ছিনতাই:

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫, ৩.৫১ পিএম
  • ২৩৫ বার পড়া হয়েছে
কোর্ট চত্বরে নাটকীয় ছিনতাই: গণধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুল্লাহকে পুলিশের সামনেই মুক্ত করে নিলো নারী ব্যবসায়ীচক্র!
বিশেষ প্রতিবেদক :

নারায়ণগঞ্জ এর বাসিন্দা  নাসরিন আক্তার (২৭) গণধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে কোর্ট এলাকায় একটি পুলিশি চক্রের সহায়তায় মামলার প্রধান আসামী মোঃ সাইফুল্লা সহ অন্যান্য আসামীদের ছিনতাই করা হয়, যার সঙ্গে পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল।

নাসরিন আক্তার জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন রুবেল মল্লিক (বিপি নং—৮৪১৩১৫৯০১০, পদবী—ইন্সেপেক্টর)। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে আসামীদের সন্ধান পেতে নাসরিন আক্তারকে কিছুদিন পর তথ্য দেওয়া হয়। এরপর, ১৯ ফেব্রুয়ারি, নাসরিন তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তাকে জানান যে, আসামীদের খোঁজ পাওয়া গেছে এবং পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়।কোর্ট এলাকায় আসামীর সন্ধান পেয়ে, নাসরিন আক্তার তদন্ত কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের অজ্ঞাতনামা এসআইকে ফোন করেন এবং আসামী সাইফুল্লাকে কোর্টের পুলিশ ক্লাবের সামনে দেখিয়ে দেন। এরপর, পুলিশ সদস্যরা সাইফুল্লাকে গ্রেফতার করার জন্য এগিয়ে আসেন, কিন্তু এসময় কোর্ট এলাকায় থাকা কিছু অপরাধী আসামীর পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সাইফুল্লাকে ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় নাসরিন আক্তার অভিযোগ করেছেন যে, কোর্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সদস্যরা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল এবং তারা ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধ করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সেখানকার ১০—১২ জন পুলিশ সদস্য শুধুমাত্র সেই ঘটনাটি দেখছিলেন এবং হাসি—ঠাট্টা করছিলেন। এর ফলে, আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি এবং তারা পালিয়ে যায়।

তদন্ত কর্মকর্তা রুবেল মল্লিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাসরিন আক্তারের সাথে কথা বলেন এবং তার শঙ্কার কথা জানান। তিনি বলেছিলেন, ছিনতাইকারীরা খুবই ভয়ংকর এবং আসামীদের পুনরায় গ্রেফতার করতে সাহস পাচ্ছেন না। তবে, তিনি আশ্বস্ত করেন যে, কিছুদিনের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করতে সহায়তা পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

নাসরিন আক্তার আরও অভিযোগ করেছেন যে, কাফরুল এলাকার গোল্ডেন আবাসিক হোটেলের ভিতরে আবারও পতিতালয় চালু করা হয়েছে, যা পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় চলছে। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, তদন্ত কর্মকর্তা রুবেল মল্লিক এবং কাফরুল থানার কর্মকর্তারা গোপনে আসামীদের সহায়তা করছেন এবং তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
নাসরিনের বক্তব্য
এদিকে, নাসরিন আক্তার জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আসামীরা বিভিন্ন পত্র—পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে উল্টো সংবাদে আমাকেই পতিতা বানানো হচ্ছে এর কারণ হচ্ছে নারী ও পাচারকারী দালাল সাইফুল্লাহ দেশ—বিদেশের নারী পাচারকারী সিন্ডিকেটের সাথে মিলে গড়ে তুলেছে এক বিশাল চক্র। ঐ চক্রের সাইফুল্লাহ লিডার হওয়ায় মামলার সূত্রে সবকিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেনে যাওয়ায় সাইফুল্লাহ আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে পত্রিকা—অনলাইন, ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ছবি প্রকাশ করে আইন বর্হিভুতভাবে ধর্ষনের ঘটনার বিষয় ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে ধর্ষনের পক্ষে সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকদেরও আমার ছবির সাথে তাদের ছবি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছে। এই সাইফুল্লাহ চক্রের সাথে অনেক সাংবাদিক নামধারী নারী পাচারকারী ভূইফোর সাংবাদিক রয়েছে আর তাদের কাজ হচ্ছে পাচারকারীর চক্রের বিরুদ্ধে কোন নারী ন্যায় বিচার পেতে আইনগত ব্যবস্থা নিলেই দালাল চক্ররা মামলা হতে রেহায় পেতে ঐ নারীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়ে থাকে। যাতে করে ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পেতে তাদের পাশে কোন আইনগত সহায়তাকারী না থাকে। সাইফুল্লাহ চক্রের সহায়তাকারী হিসাবে রয়েছে বিল্লাল, আফতুজুল মারুফ, সফিক, ডিপজল, আরিফ, সাগর, কানা মানিক, টিগার শহীদ, গালকাটা কামাল, বুলেট রফিক, এছাড়াও ৩ থেকে ৪ শতাধিক নারী গঠিত পতিতা ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী দালালচক্র রয়েছে। এই চক্রের কাজ হচ্ছে দুবাই, সৌদি আরব, মালয়শিয়াসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে মেয়েদের কাজের কথা বলে বৈধ ভিসার নামে বিভিন্ন ফন্দি—ফিকির করে দালাল চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যেমে স্বামী—স্ত্রী সাজিয়ে টুরিষ্ট্য ভিসা সংগ্রহ করে বিদেশে পাঠানোর পর স্বামী পরিচয় দানকারী ব্যক্তি সটকে পড়েন একদিকে আবার অন্যদিকে নারীকে নানাবিধ ভয়—ভীতি দেখিয়ে  দেহ ব্যবসায় লিপ্ত করা হয়। বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাসা, হোটেল, গেস্ট হাউজে পাচার হওয়া ঐ সকল নারীদের দেখা মিলে এবং বিদেশে বাঙ্গালী নারীদের চাহিদাও বেশি।

এবং আসামীদের হাতে অপহৃত কিংবা হত্যা হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন যেন তদন্ত কর্মকর্তা রুবেল মল্লিক, কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং কোর্ট এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।

এই ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নাসরিন আক্তার নিবেদন করেছেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com