সিএনএমঃ
নৌ পথ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরপরই নৌ পথকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন ডাকাত গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠে। নৌ পথে ডাকাতি, দস্যুতা রোধে নৌ পুলিশ নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল ক্রমাগত অভিযানের মাধ্যমে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে প্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গত ১০ জানুয়ারি, ওটি বিন জামান -১ নামক ওয়েল ট্যাঙ্কার নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন মদনগঞ্জ সামিট গ্রুপের ঘাট হতে ৩৬০.০৩৬ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল (যার মূল্য আনুমানিক ৩.৬ কোটি টাকা) নিয়ে গাজীপুর কড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্টের উদ্দেশে রওয়ানা করে। জাহাজটি মুন্সীগঞ্জ সদর থানাধীন চর মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন শীতলক্ষা নদীর মোহনায় পৌঁছালে জাহাজের স্টাফদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল জাহাজটিকে পুর্বপরিকল্পিতভাবে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং জাহাজ হতে প্রায় ৩৫০ টন তেল অন্য আরেকটি অজ্ঞাত জাহাজে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই বিষয়টি নৌ পুলিশ প্রধানের গোচরীভূত হবার সাথে সাথে তিনি নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।
নৌ পুলিশ প্রধানের নির্দেশক্রমে এবং নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপারের তৎপরতায় ক্রমাগত অভিযানের মাধ্যমে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট আটজন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নৌ ডাকাতরা হলো- ১। মোঃ ইসমাইল বেপারি, ২। মোঃ আমজাদ হোসেন তপু ৩। মোঃ ফেরদৌস ফরাজী, ৪। মোঃ রিয়াজ হোসেন, ৫। মোঃ সুমন মিয়া, ৬।মোঃ ইউসুফ মিয়া, ৭। মোঃ অনিক মিয়া ও ৮। মোঃ রানা।
এই অভিযানে ৩৫০ মেট্রিক টন (প্রায়) ফার্নেস অয়েল (যার আনুমানিক মূল্য–৩.৫ কোটি টাকা) সম্পূর্ণ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, এম ভি ভূইয়া নামে একটি বাল্ক হেড, তেল আনলোড করার কাজে ব্যবহৃত একটি স্যালো মেশিন ও দুটি পাইপ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি হাসুয়া এবং দুটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
নিরাপদ নৌপথ নিশ্চিত করণসহ নৌপথে যেকোন প্রয়োজনে নৌ পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।