বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

প্রেমিককে স্বামী হিসেবে না পেয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ৫.৫৭ পিএম
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

সিএনএমঃ

মাদারীপুরের শিবচরে প্রেমিককে স্বামী হিসেবে না পেয়ে হাফিজা আক্তার (১৪) নামে এক কিশোরীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাবলাতলা এলাকার হাজী কাইমুদ্দিন শিকদারের কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ওসি মো. মোক্তার হোসেন।

নিহত হাফিজা ওই গ্রামের চাঁনমিয়া মোল্লার মেয়ে। এবং তিনি চর বাঁচামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। এ দিকে গলায় ফাঁসি দেওয়া অবস্থায় নিজের বসতঘরের ভেতরে থেকে হাফিজাকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বড় ছেলে পিয়ার সরদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল হাফিজার। একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকবার সালিশ দরবারও হয়েছে এলাকায়।

সেখানে চাঁনমিয়া সরদারের বড় ছেলে পিয়ার নিজের দোষ অস্বীকার করলেও তার ছোট ছেলে আলী সরদার সবার সামনে নিজেকে দোষী বলে দাবি করেন এবং ওই মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হন। তবে হাফিজা কোনভাবেই আলীকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। হাফিজার দাবি, তাকে নষ্ট করেছে পিয়ার সরদার। তাই সে যদি বিয়ে করে তবে আলীকে নয় পিয়ারকেই করবে।

স্থানীয় সালিশ ও পরিবারের লোকজন আলীকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে হাফিজাকে। আর এ কারণেই হাফিজা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে ধারণা সবার।

অপরদিকে ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে রয়েছে পিয়ার হোসেনের পরিবার। তালাবদ্ধ রয়েছে তাদের বসতঘর।

নিহত হাফিজার বড় ভাই নাসির মোল্লা বলেন, ‘আমরা এলাকায় ন্যায় বিচার পাইনি। আমার বোন সম্পর্ক করেছে কালাম সরদারের বড় ছেলের পিয়ার হোসেনের সঙ্গে। আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে তার বড় ছেলে। অথচ সকলে মিলে বিয়ে দেবে ছোট ছেলে আলীর কাছে। আর এ কারণেই আমার বোন আজ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা এই হত্যার ন্যায় বিচার চাই।’

শিবচর থানার ওসি মো. মোক্তার হোসেন বলেন, নিহত হাফিজার একজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছি। এখানে ধর্ষণের মতো কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা ময়নাতদন্তে রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com