মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান অভিযুক্তকে স্বাক্ষী করায় এলাকায় তোলপাড়

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৮.২২ পিএম
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাসের কথিত মানষিক ভারসাম্যহীন নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষনের অভিযোগে ৬জনের নামে মামলা করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে মূল অভিযুক্ত তাইজুল ইসলাম নামে এক যুবককে মামলায় আসামী না করে, করা হয় ১নং সাক্ষী।
সে দাসকান্দি বাজার সংলগ্ন পারুল উরফে ফারুক সরকারের ছেলে। এ ছাড়াও ঘটনায় জড়িত এলাকার লম্পট হিসেবে চিহ্নিত পোড়াকান্দি গ্রামের মৃত আক্তারের ছেলে আশরাফুলকেও মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। আসলেই কি দলবদ্ধ ধর্ষণের স্বিকার হয়েছিলো ওই নারী; নাকি এলাকার কোন দুষ্ট চক্রের সাঁজানো ফাঁদে ভাইরাল হলো দলবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনার?
সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, গত  ৩০ আগস্ট শুক্রবার সকালে তিতাসের দাসকান্দি বাজারে ৬যুবককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে স্থানীয় আরিফ, ইব্রাহিম ও লাদেনের নেতৃত্বে গ্রামবাসী। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাস্থলে পৌছায় তিতাসের ছাত্র-জনতা, সেনাবাহিনী ও তিতাস থানা পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ভিকটিম নারী ও ৬যুবককে স্থানীয় এলাকাবাসীর রোষানল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ এবং রাতে ভিকটিমের ভাবি বাদি হয়ে আটক ৬যুবকের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামি করে মামলা নং ৩ দায়ের করা হয়। তবে ভিকটিমের শত আর্তনাদে প্রকাশ পাওয়া মুল অভিযুক্ত তাইজুল ইসলামের নাম মামলার এজাহারে অন্তর্ভুক্ত হয়নি; হয়েছে মুল স্বাক্ষির তালিকায়। যেখানে ভিকটিম নারী নিজেই পুলিশ ও জনগণের সামনে জানায়, তাইজুল মোবাইলে অশ্লিল ছবি ধারণ করেছে এবং সর্ব প্রথম সে ই ধর্ষণ করেছে এবং বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এলাকাবাসী ও সুশিল সমাজের মাঝে চলছে নানা রকম গুঞ্জন। নেপথ্যে কার ইন্ধন রয়েছে খুঁজে বের করে ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানায় তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গেলো ২৭আগস্ট বিকালে দাসকান্দি বাজারের আলীর দোকানের সামনে ত্রাণের জন্য বসে থাকে ৩৫বছর বয়সি রোজিনা বেগম ছদ্মনামের কথিত এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী।
আশায় আশায় সন্ধ্যা হয়ে গেলে প্রথমে দাসকান্দি গ্রামের পারুল উরফে ফারুক সরকারের ছেলে তাইজুল ইসলাম তাকে ফুসলিয়ে দোকানের পাশে নিয়ে বিবস্ত্র ছবি ধারণ করে এবং অনৈতিক মেলামেশা করে পরে পোড়াকান্দি গ্রামের মৃত আক্তারের ছেলে আশরাফুলসহ অন্যরা সুযোগ নেয়।
তবে মামলার বাদী জানায়, আসামী বা স্বাক্ষীর বিষয়ে সে কিছুই জানে না। যারা ৬জনকে আটক করেছে তারা ই নাম ঠিকানা দিয়েছে এবং তাদের কারণেই মামলা হয়েছে। বাদী শুধু মামলার কাগজে সই দিয়েছে। সে কাউকেই চিনে না।
 অভিযুক্ত পরিবারগুলোসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এ নারী টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন এলাকায় দেহ ব্যবসা করে থাকেন এবং টাকার লোভে নিজের তিনটি সন্তানের মধ্যে দু’টিই সন্তান বিক্রিও করেছেন। জনগণের দাবি ঘটনার দিন সে ধর্ষণের স্বিকার ছিলেন না, টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করেছিলেন এবং স্থানীয় একটা দালালচক্রের মাধ্যমে শালিশ বসিয়ে মোটা অংকের টাকার ফায়দা নেয়ার পথ করেছিলেন। কিন্তু ঘটনায় জড়িতরা একেক জন একের রকম কথাবার্তা বলায় শালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসিত না হলেই দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গাছের সাথে বেঁধে ভাইরাল করে এলাকার একটা দুষ্ট চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, ৩০আগস্ট শুক্রবার সকালে বাজারে বিচার হবে এমন কথা বলে ৬জনকে ডেকে আনে পোড়াকান্দি গ্রামের রহমত উল্লাহ’র ছেলে ইব্রাহিম। তবে সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে ৬জনকেই গাছের সাথে বেঁধে ফেলে স্থানীয় জনগণ। যেখানে ফেঁসে যায় নিরপরাধ কয়েকজন আর সুকৌশলে বাঁচিয়ে দেয়া হয় প্রথমে অনৈতিক কাজ ও মোবাইলে অশ্লিল চিত্র ধারণকারী তাইজুলকে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর মোঃ ইব্রাহিম খলিল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে আরিফ ও লাদেন জানিয়েছে। আমি কাউকে ফাঁসাইনি, কাউকে বাদও দেইনি।
দাসকান্দি গ্রামের মরহুম নুরু মিয়ার ছেলে আরিফ মুঠোফোনে বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি একা কিছু করি নাই গ্রামবাসীকে সাথে নিয়েই সব করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তাইজুল ইসলামের কাছে জানতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মামলায় প্রধান স্বাক্ষী হলেও ঘটনার পর থেকেই সে আত্মগোপনে রয়েছেন।
দু’টি বাচ্চা দত্তকের বিনিময়ে দশ হাজার টাকা নিয়েছেন এবং বর্তমানে টাকা দিলে মামলা তুলে নিবেন বলেও সাংবাদিকদের জানায় কথিত প্রতিবন্ধী (রোজিনা বেগম ছদ্ধনাম)।
এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও.সি) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, মামলাটি বাদী যখন করে তখন কেনো তাইজুল ইসলাম কে আসামি করলেন না! এখন মামলার পর এমনটা বললে কেমন হইলো? তারপরও আমাদের তদন্ত চলমান, মেডিকেল রিপোর্ট আসবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চার্জশীট এর আওতায় আনা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ সম্প্রতি একটি অনিবন্ধিত ভূঁইফোড় অনলাইন কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা নামের এক ফেইসবুক মিডিয়া পেইজে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর পোষ্টের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত ২৬ মে ২০২৫ ইং তারিখে উক্ত মিডিয়ার “কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’র সাংবাদিক আবু মুসাকে মিথ্যা মামলায় সাজিয়ে জেলে পাঠালেন তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ উল্ল্যাহ” এমন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ওসি মো. শহিদ উল্যাহ। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, গত ২৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় তিতাস থানাধীন ০৭নং নারান্দিয়া ইউনিয়নের খলিলাবাদ গ্রামস্থ বাদীর বসত বাড়ীর সামনে রাস্তা হইতে মোহাম্মদ সাজিম হাসান(২২) নামের এক ব্যক্তিকে অপহরন করিয়া নিয়া আটক পূর্বক তাহার পরিবারের নিকট মুক্তিপন হিসাবে ১,৫০,০০০/-টাকা দাবী করে। পরবর্তীতে ২৬/০৫/২০২৫ইং তারিখ আসামীগন ভিকটিমকে নিয়া অত্র থানাধীন আসামানিয়া বাজারে আসিলে ভিকটিম চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন ০২ জনকে আটক করিয়া থানায় ফোন করিলে থানার টহল টিম ঘটনাস্থল হইতে ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক এজাহার নামীয় ০২জন আসামীকে আটক করে। আটককৃত আসামী মোঃ আবু মুছা(৩৫), পিতা-মৃত দুলাল মুন্সী, মাতা-নাছিমা বেগম, সাং-সিংগুলা (মুন্সী বাড়ী), ইলিয়টগঞ্জ (উত্তর) ইউপি, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লা নিজেকে ক্রাইম বার্তার সাংবাদিক বলিয়া পরিচয় দেয়। উক্ত ঘটনার বিষয়ে পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা জাহিদ আটক আসামী আবু মুসা ও ডাকাতি মামলার আসামী আঃ গাফ্ফারসহ অন্যান্য আসামীগন ভিকটিমকে অপহরন করে আসামী আবু মুসার বাড়ীতে আটকিয়ে মারধর, মুক্তিপন দাবী, মোবাইল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ভিকটিমের পিতার এজাহারের প্রেক্ষিতে তিতাস থানার মামলা নং-১৭, তারিখ২৬/০৫/২০২৫ইং, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩৬৫ /৩৮৫/৫০৬/৩৮৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু করিয়া ধৃত আসামীদ্বয়কে যথাযথ পুলিশ পাহারায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হইয়াছে। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কেহ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা একটি অনলাইন পেইজ থেকে বিভ্রান্তিমূলক, ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। অনলাইন পেইজ থেকে পাঠানো পোষ্টের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদটি আপনাদের প্রতিবাদী কলমে প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এদিকে কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা’র অনলাইন পেইজ থেকে প্রকাশিত পোষ্টের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিতাসের সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ এবং উক্ত ঘটনায় মূসার আটকের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় নেটিজনদের অনেকেই কুমিল্লা ক্রাইম বার্তা ফেইসবুক পেইজটি ভুয়া সংবাদ প্রচার করে মানুষের নামে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং তাদের পেইজে কর্মরত সাংবাদিক পরিচয়ধারী মূসা চাঁদাবাজি করে বেড়ায় সে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত বলে মন্তব্য করতে দেখা যায়, পরিশেষে এসব অপপ্রচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সাধারন জনগন। মো. সাকিব হোসেইন, তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা। মোবাইল: 01400394838 তারিখ: ৩০/০৫/২০২৫ইং নিউজের সাথে ওসির ছবি ও বিবৃতির স্কিনসর্ট দেওয়া আছে।

© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com