সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী নারী পাঁচারকারী চক্র, তাদের নেটওয়ার্ক রয়েছে দেশ ব্যাপী। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে বিভিন্ন কায়দায় নানা প্রলোভন দেখিয়ে দালালদের মাধ্যমে মেয়েদের সংগ্রহ করে তাদের নিজস্ব ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাটে বা আবাসিক হোটেল সাইন বোর্ডের অন্তর্রালে গড়ে তোলা পতিতালয়। ডিএমপিতে তাদের রয়েছে প্রায় অর্ধ-শতাধিক মিনি পতিতালয়। যার সাইন বোর্ডে নাম দিয়েছে আবাসিক হোটেল। উত্তরাতে রয়েছে।উত্তরা এলাকায় রয়েছে (১) সিগ্যাল (২) রাজমণি (৩) গার্ডেন ভিউ (৪) ক্রাইম (৫) ঢাকা প্যালেস (৬) ওয়ান স্টার (৭) হোয়াইট প্যালেস (৮) মঞ্জুরী (৯) রাজমহল (১০) রয়েল বøু (১১) নাইস লুক (১২) উত্তরা গেস্ট হাউজ (১৩) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল (১৪) আদাবর থানা এলাকায় লাব্বাইক-৩, (১৫) তেজগাঁও থানা এলাকায় লাব্বাইক-১, (১৬) মিরপুর-১ নং গোলচত্ত¡র ৫-১/এ, হোল্ডিয়ের ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় আবাসিক হোটেল গার্ডেন ভিউ, (১৭) কোতয়ালী থানাধীন ১৯, আকমল রোড, বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেল (১৮) প্রিন্স আবাসিক হোটেল, (১৯) ডেমরা থানা এলাকার স্টাফকোয়াটার, নড়াইবাগ, মিরপাড়া, হাজী মির্জা আলী সুপার মার্কেটে, ফ্যাসী ইন্ আবাসিক হোটেল, (২০) যাত্রাবাড়ি এলাকায় ৩৩৯ নং হোল্ডিং মেঘনা আবাসিক হোটেল, (২১) সায়েদাবাদ, জাকির টাওয়ারে নাহিদ আবাসিক হোটেল, (২২) মর্ডান আবাসিক হোটেল, (২৩) সুনারগাঁয়ের মুরগাপাড়া মোড়ে সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে তাদের অর্ধ-শতাধিক আবাসিক হোটেল, শতাধিক ফ্ল্যাট বাসা।
এর মধ্যে উত্তরা ও মিরপুরের হোটেল গুলোতে রয়েছে ভয়ংকর টর্চার সেল। কোন মেয়ে পর পুরুষের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে না চাইলে তার উপর নেমে আসে অস্বাভাবিক নির্যাতন। মদ্য পানকারী মাতাল খদ্দের দ্বারা করা হয় নানা ধরনের নির্যাতন যেমন সিগারেটের আগুনে অনেক মেয়েকে জ¦লসে দেয় তার সারা শরীর ও গোপনাঙ্গ সহ দেহের বিভিন্ন অংশে। তবে মিরপুর গার্ডেন ভিউ আবাসিক হোটেলে রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টর্চার সেল। তাছাড়া ঐ টর্চার সেল পাঁচারকারী দালালদের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেখানকার টর্চার সেলে কোন একবার গেলে ভয়ে জীবন বাঁচাতে পাঁচারকারী দালালরা যা বলে আটক মেয়েরা তাই শুনে। আর যদি কেউ তাদের কথায় রাজি না হয় তাহলে নানা ফন্দি ফিকির করে মেয়েদের হত্যার মতো ঘটনাও ঘটিয়ে থাকে। তবে যে সকল মেয়েরা পাঁচারকারী বা দালালদের কথায় রাজি হয়ে তাদের বশে চলে আসে তাদের একটি অংশকে বাছাই পূর্বক দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, ভারতে বিভিন্ন প্রদেশ সহ বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করে। বাকিদের দিয়ে দেশেই তাদের হোটেল নামক পতিতালয় গুলোতে তাদের রাত দিন সেখানকার খদ্দেরদের মনোরঞ্জনের জন্য রাখা হয়। তবে বিদেশে পাঁচার কার্যক্রমে পরিচালনার জন্য সফিক, রফিক, আজাদ, ডিপজল, ওসমান, ফরিদ, আবু কালাম জয়, কাশেমদের রয়েছে একাধিক পতিতা। বিদেশে মেয়ে পাঁচার ব্যবসা পরিচালনার জন্য উল্লেখিত পাঁচারকারীদের একাধিক তথাকথিত স্ত্রী রয়েছে। ঐ সকল স্ত্রী নামক পাঁচারকারীনী নারীরা বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকেন। সফিকের স্ত্রী (১) রত্মা, সায়লা, কারিনা, রিতা, মৌসুমী, পারভীন, অজান্তা, স্বপ¥া এছাড়াও নাম না জানা অনেকে। রফিকের স্ত্রী (১) সুস্মিতা, মধুমিতা, মায়া, পায়েল, আইরিন, ঈশামনি। তাছাড়া অন্যান্য দালালদের রয়েছে বিভিন্ন নামে রয়েছে একাধিক তথাকথিত স্ত্রী
ঐ সকল পাঁচারকারীদের স্ত্রী পরিচয়দানকারী নারীরা বিদেশে পাঁচার হওয়া মেয়েদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যস্ত থাকেন। আর পাঁচারকারী সফিক ও রফিক সহ এদের সিন্ডিকেটের দ্বারা মেয়েদের সঙ্গে করে বারবার বিদেশে নিয়ে তাদের নানা কৌশলে সেখানে রেখে আসে। দুবাই পাঁচার হওয়া মুন্নি মুঠোফোনে ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে বলে সফিক ও রফিক পাঁচারকারী চক্রটি বেশ দুরন্ত তারা পারে না এমন কোন কাজ নেই। এবং তাদের সহায়তা করে এক শ্রেণির অসাধু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ। মুন্নিকে তারা ৫ বছর আগে দুবাইয়ে পাঁচার করে দেয় এ পর্যন্ত মুন্নি তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা আসতে পারে নাই।(২) ছদ্দ নাম রিনা নামে এক নারী জানায় এই চক্রটি তাকে ইন্ডিয়াতে নিয়ে যায় সেখান নিয়ে তাকে ঐ দেশের এজেন্টদের কাছে বিক্রি করে দিয়ে আসে পরবর্তীতে সে বহু কষ্টে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। তবে ঐ নারী বলেন তিনি যে কোন সময় এ পাঁচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবেন। (৩) এর পর পারভীন নামে এক নারী জানায় সফিক, রফিক, আজাদ, আবু কালাম জয়, ফরিদ এই চক্রের সদস্যরা প্রায় তিন শতাধিক যুবকদের তাদের দলে পাঁচারকারী দালাল সদস্য বানিয়েছে।
এই চক্রটি প্রতি মাসেই মাসে শত শত মেয়েকে বিদেশে পতিতা কাজের জন্য পাঠায়। তার মধ্যে অনেক মেয়েকে বর্তমানে সোনা চোরা চালান কারবারি বানিয়ে বিদেশে হতে বিভিন্ন কৌশলে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে সোনা পাঁচার করানো কাজে কিছু মেয়েকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এই চক্রের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলবাহিনী স্থানীয় পর্যায়ে তেমন কোন ব্যবস্থা নেন না। কারণ স্থানীয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তারা ম্যানেজ থাকার ফলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে দুই এক জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন। জামিনে বের হয়ে এসে পুনরায় একই পেশায় পাঁচারকারী চক্রটি অপরাধ কাজে নিয়োজিত থাকেন। বর্তমানে তাদের আবাসিক হোটেল নামক টর্চার সেলগুলোতে বন্দি রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক নারী যে কোন সময় ঐ নারীরাও পূর্বের নারীদের মতো দেশ বিদেশের পতিতালয়ে পাঁচার হয়ে যাবে।