গার্মেন্টস এ কাজ খুজতে গিয়ে চার দেওয়ালে বন্দি হলো নাবালিকা মেয়েরা! এ যেন দেখার কেহ নেই
বিশেষ প্রতিনিধি (মোঃ আলমগীর)
হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার কর্মীগণ কয়েক বার অভিযোগ করার পরেও বন্ধ হয়নি দারুস সালাম থানা এলাকার চাঁদ মহল, যমুনা, স্বাগতম, নিউ আগমন, মিরপুর ১ নাম্বার গোল চত্ত¡রে ৫-১/এ হোল্ডিং এ অবস্থিত গার্ডেন ভিউ আবাসিক হোটেলে চলা নারী পাঁচার, পতিতা ও মাদক ব্যবসা বর্তমানে দারুস সালাম থানা পুলিশের সহায়তায় সেখানে অপকর্ম চলায় পুনরায় সংস্থার কর্মীগণ হোটেলগুলোতে অবরুদ্ধ মেয়েগুলো উদ্বারে অভিযোগ করেছেন ক্রাইম নিউজ মিডিয়াকে এইচ, আর, এইচ, এফ, এর অপরাধ অনুসন্ধানকর্মীগণ। গতকাল মহা-পুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম), মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবরে ডাকযোগে অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
অনুসন্ধানকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে অপরাধ অনুসন্ধান কালে দারুস সালাম থানাধীন গাবতলী বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পর দেখতে পায় ৫-৬ জন লোক ভিজিটিং কার্ড বিলি করছে। ঐ মূহুর্তে অনুসন্ধানকর্মীরা ভিজিটিং কার্ড বিলি কারী ৪ জনের কাছ হতে ৪টি ভিজিটিং কার্ড নেয়। কার্ডের গায়ে লেখা (১) ডালিম ভাই মোবাইল-০১৯১৪-৫৯০৭৫৯ (২) নয়ন ভাই মোবাইলঃ ০১৮৭৮-৬৫২৭৮০, ০১৮৫৭-১২২৬৬০ ৩। বরকত ভাই, মোবাইলঃ ০১৮১৮-৪৬৯৫৫৭ (৪) কনক ভাই, মোবাইলঃ ০১৮৮৬-৪২৩১১১ (৫) মামুন ভাই মোবাইলঃ ০১৯৪৩-১১৬৭০৯, (৬) ওসমান ভাই মোবাইলঃ ০১৮৩১-৯২৪৭৯১ এক পর্যায়ে কার্ড বিলিকারীদের সাথে আমরা কথা বলি তাহারা আমাকে প্রথমে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের উল্টো পাশে হোল্ডিং নং-৯৮, চার আনা বাগবাড়ি, (দ্বিতীয় তলা), চাঁদ মহল নামক আবাসিক হোটেলে ও ১০০/ক, নিউ আগমন আবাসিক হোটেল, স্বাগতম ও যমুনা নামক হোটেল ৪টিতে পৃথকভাবে তাদের নিয়ে যায়। হোটেল গুলো তে পৃথক ভাবে গিয়ে তারা দেখতে পায় এক একটি হোটেলে ২৫-৩০ জন করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত মেয়ে মানুষ যারা সাজুগুজো করে হোটেলের রুম গুলোতে বসে রয়েছে।
সেখানে স্টাফ পরিচয়ে দালালরা বহিরাগত পুরুষ খদ্দের এনে মেয়েদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। ঐ সকল মেয়েদের মধ্যে বেশিরভাগই অপ্রাপ্ত এবং হোটেলের কিছু রুমে দেখতে পায় মাদক বেচাকেনার ও সেবন ও জুয়া খেলার আসর দেখতে পায়। এর মধ্যে রুপা নামে এক মেয়ে চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও করে তখন ঐ মেয়েকে খদ্দের বেশে অনুসন্ধানকারীরা কৌশলে মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলে মেয়েটি বলে ওরা আমাকে গার্মেন্সের কাজ দেওয়ার কথা বলে হোটেলে এনে পুরুষদের দিয়ে খারাপ কাজ করাচ্ছে। এমন সময় হোটেলের দুই জন দালাল মেয়েটিকে ব্যাপক মারধর করে। একটি রুমে ঢুকিয়ে বাহির হতে দরজায় তালাবদ্ধ করে দেয় এবং সেখানকার দালালরা বলে এখানে কেউ একবার এলে খারাপ কাজ না করে যেতে পারে না।
তোমাকে ৩০,০০০ টাকা দিয়ে কিনে রাখা হয়েছে। তুমি যদি এখান থেকে যেতে চাও তাহলে আমাদের টাকার পরিমাণ কাজ করে তারপর চলে যেও। এক পর্যায়ে কর্মীদের ঘোরাঘুরি দেখে তাদের সম্মুখে ৫-৬ জন লোক তাদের পরিচয় জানার পর (১) ডালিম ভাই মোবাইল-০১৯১৪-৫৯০৭৫৯ (২) নয়ন ভাই মোবাইলঃ ০১৮৭৮-৬৫২৭৮০, ০১৮৫৭-১২২৬৬০ (৩) বরকত ভাই, মোবাইলঃ ০১৮১৮-৪৬৯৫৫৭ (৪) কনক ভাই, মোবাইলঃ ০১৮৮৬-৪২৩১১১ (৫) মামুন ভাই মোবাইলঃ ০১৯৪৩-১১৬৭০৯, (৬) ওসমান ভাই মোবাইলঃ ০১৮৩১-৯২৪৭৯১ তাহারা নিজেদের দুই হোটেল মালিক পরিচয় দিয়ে বলে দারুস সালাম থানার ওসি তদন্ত এবং ওসি অপারেশনকে ম্যানেজ করে এই হোটেল গুলোতে মাদক, জুয়া, নারী ব্যবসা চালানো হয় তাতে আপনাদের সমস্যা কি? আপনারা এখানে ঘোরাঘুরি না করে হোটেল হতে চলে যান। নয়ত বিপদে পড়বেন।
এর পর সেখান হতে চলে এসে রাস্তায় দেখি দারুস সালাম থানার ডিউটিরত একটি পুলিশের গাড়ি। সেখানে এসে পুলিশকে বিষয়টি বলি। পুলিশ বলে থানায় গিয়ে ওসি স্যারকে বলেন। এই সব অপরাধের বিষয় আমি কোন ব্যবস্থা নিলে শেষে চাকরি থাকবে না। এই বলে তাহারা চলে যায়। উক্ত হোটেল ৪টিতে প্রায় একেকটি হোটেলে ১০-১২ জন অপ্রাপ্ত মেয়ে রহিয়াছে। যাদেরকে বিভিন্ন কায়দায় ফুসলিয়ে নারী পাঁচারকারী দালালরা সেখানে এনে তাদের নির্ধারিত রুমে আটক করে মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। ঐ সকল মেয়েদের যে কোন সময় দেশ বিদেশের যে কোন পতিতালয় অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য সেখানকার এজেন্টদের কাছে বিক্রি করে পাঁচার করে দেওয়া হতে পারে। বিধায় আটক মেয়েদের উদ্ধার পূর্বক তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে উক্ত সংস্থার অনুসন্ধানকারী মোঃ আলমগীর (সেলিম) ২৯/০৪/২০২৪ইং তারিখে দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ, মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার, পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঐ অভিযোগে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানার জন্য অনুসন্ধানকারী গতকাল দারুস সালাম থানা এলাকার আবাসিক হোটেল গুলোর অপকর্মের বিষয় খোঁজ খবর নেন। এরিমধ্যে কর্মীরা জানতে পারেন গার্ডেন ভিউ আবাসিক হোটেলে একাধিক মেয়ে পূর্বের কায়দায় আটক করে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। বিধায় সংস্থাটি পুনরায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অনুসন্ধান কর্মীগণ পুনরায় উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ২৯/০৪/২০২৪ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ দারুস সালাম থানা, উপ-পুলিশ কমিশনার মিরপুর বিভাগ, যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম), পুলিশ কমিশনার, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু অদ্য পর্যন্ত সেখানে নারীদের জিম্মি ও আটক করে চলা অসামাজিক কার্যকলাপ ও নারী পাঁচার অদ্য পর্যন্ত বন্ধ না হওয়ায়। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী উক্ত হোটেল গুলোর অপকর্ম বন্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়। অদ্য ১৩/০৬/২০২৪ইং পুনরায় অনুসন্ধানকারী মোঃ আলমগীর ( সেলিম) খোঁজ খবর নেয় এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে জানতে পারে ১নং মিরপুর চৌরাস্তা মোড় সংলগ্ন গার্ডেন ভিউ নামক আবাসিক হোটেলে ২০ হতে ২৫ জন মেয়ে মানুষ রাখিয়া উক্ত হোটেলটি পতিতালয় স্থাপন করিয়া হোল্ডিং মালিকের সহযোগিতায় ও দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ, ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন সহ থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় উক্ত হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। সেখানে খদ্দের বেশে কর্মীরা প্রবেশ করে দেখতে পায় লিফটের ৪র্থ তলায় হোটেল কাউন্টার এর উপরের তলায় হোটেলের রুম গুলোতে প্রায় ২৫-৩০ জন প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত মেয়ে মানুষ রাখিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। এমতাবস্থায় রুমা, আসমা, শাহিদা, পারভীন নামে ৪ জন মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, কৌশলে ঐ মেয়েদের সাথে কথা বলে জানতে পারে তাদের গার্মেন্টেস এর কাজ দেওয়ার কথা বলে দালালরা এই হোটেলে এনে শারীরিক নির্যাতন পূর্বক বিভিন্ন পুরুষ দ্বারা তাদের দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করাচ্ছে। তারা এখান থেকে যেতে চায় হোটেলে থাকা দালালরা যেতে দেয় না। এমন সময় হোটেলে থাকা সুপারভারজার পরিচয়দানকারী বক্সার নামক ব্যক্তি মোবাইল: ০১৯৩৩-২৩০৭৬৬। ও মালিক পরিচয় দান কারী আজাদ মোবাইল: ০১৭১৮-৯৪৩৫৬৯ ব্যক্তিগণ এসে অনুসন্ধারকর্মীদের পরিচয় জানতে চায় তখন তারা মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিলে তখন সেখান থেকে তাদের নানা ধরনের হুমকির সুরে হোটেল থেকে নামিয়ে দেয় এবং বলে দারুস সালাম থানার তিন ওসি ও এসি এমনকি মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এই ব্যবসা করি।
এখানে খদ্দেরদের মন জোগাতে দালালদের দ্বারা বহু কষ্ট করে অনেক টাকা ব্যয় করে নতুন মেয়েদের জোগাড় করি। আর আপনারা আসছেন মানবাধিকারগিরি দেখাইতে এই বলে তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর ৯৯৯ কে একটি নাম্বার হতে মোঃ আলমগীর (সেলিম) অফিসের নাম্বার হতে ফোন দেয়। ৯৯৯ এর ফোন পাওয়ার পর দারুস সালাম থানার ডিওটি অফিসার এসআই রাতুলকে পাঠান। যার মোবাইল নং: ০১৯১২-১২১২৭৮, হতে রাতুল ৯৯৯ ফোন দেওয়া মোবাইল নং: ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ তে ফোন করেন এবং তার সাথে কথা হওয়ার পর তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে আটক থাকা ঐ মেয়েদের কৌশলে পাঁচারকারীদের মাধ্যমে অন্যত্র সরিয়ে ফেলায় সহায়তা করেন অসহায় মেয়েদের উদ্ধার করেন নি কোন পাঁচারকারীকে সেখান থেকে আটকও করেন নি। এরপর রনি মোবাইল: ০১৭১৮-৯৭৫৫৫৮, নামে এক ব্যক্তি অনুসন্ধানকর্মীদের খুজে না পেয়ে থানায় ফোন দেওয়া নাম্বারে ফোন করে ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ এই নাম্বারে ফোন ব্যবহারকারীকে নানা ধরনের হুমকি ধমকি দেয় এবং তারা যেন ঐ গার্ডেন ভিউ সহ গাবতলীর অন্যান্য হোটেলে আটক মেয়েদের বিরুদ্ধে কোন থানা পুলিশ আর এ নিয়ে বাড়াবাড়ি তারা না করে বাড়াবাড়ি করলে তাদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হবে।
তবে অদ্য পর্যন্ত দারুস সালাম থানা এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে অর্ধশতাধিক প্রাপ্ত অপ্রাপ্ত মেয়ে রয়েছে যারা অসামাজিক কার্যকলাপ করতে ইচ্ছুক না নানা ধরনের নির্যাতনের ফলে তাদেরকে উক্ত হোটেলে বন্দি রেখে জোড় পূর্বক পতিতা বানাচ্ছে।
এ বিষয়ে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এর মোবাইলে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
ভিডিওতে যেসকল নারীদের কে দেখা যাচ্ছে তাহারা ১ নং মিরপুর ৫-১/এ হোল্ডিং-এর গার্ডেন ভিউ আবাসিক হোটেলের একটি রুমে বসে ঐ হোটেলে পতিতা ব্যবস্যা করার জন্য দেওয়া নবাগত মেয়েদের পাহারা দিচ্ছে। যাতে কোন মেয়ে পালাতে না পারে। ভিডিও তে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা হলেন গাবতলী হোটেল চাদমহল, যমুনা, স্বাগতম, নিউ আগমনসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য নারী সরবরাহকারী পতিতা ব্যবসায়ী সর্দারনী। ভিডিও টি গার্ডেন ভিউ আবাসিক হোটেল থেকে নেওয়া হয়েছে।