সিএনএম ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা দিয়েছেন এবং দুদককেও স্বাধীন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যতই প্রভাবশালী হোক দুর্নীতি করলে কারো ছাড় নেই।
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, দুর্নীতি করলে তদন্ত হবে। দুদক এটি করবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়তে চায় না। সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগ আসেনি। তবে দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে, বিচার হবে। বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুদকও স্বাধীন। যে যতো প্রভাবশালী হোক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা যাবে। তদন্ত শেষে মামলা করা যাবে, মানে বিচারের আওতায় আসবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করেনি। তার ব্যাপারে কি করে জানবো? সরকারের নজরে আসার আগে সরকার কিভাবে ব্যবস্থা নেবে? যখনই কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নজরে এসেছে ব্যবস্থা নিয়েছি। গণমাধ্যমে আসার পর কিংবা সরকারের নজরে আসার পর সরকার কারো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি এমন ঘটনা ঘটেনি।
মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ঈদের আনন্দ নেই, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এতো কিছুর পরেও মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদের আনন্দ নেই, বিএনপির এমন মন্তব্য ঠিক নয়। পবিত্র ঈদের দিনেও সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সমালোচনা করতে ছাড়েননি তারা।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে ১ কোটি ৪ লাখের বেশি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার প্রথম দিনেই ৩ লাখের বেশি কোরবানি হয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে ঈদ ব্যাহত হয়েছে, বিএনপির এ তথ্য ঠিক নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা করে বিএনপিসহ তাদের সমর্থকরা দেশটাকে শ্রীলঙ্কা বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে। মূল্যস্ফীতি আছে তবে এটা কমাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হবে। আলোচনার বিষয়বস্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঠিক করে রেখেছেন। তিস্তা বা গঙ্গা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে কি-না এটি এখনও জানা নেই।
মিয়ানমারের ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বেও কোথায় আঘাত করছে তারা? বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের কোনো লঙ্ঘন মিয়ানমার সরকার করেনি।