গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী জামাল। গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম (কাজল) কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে।
যাত্রাবাড়ি থানার মামলা নং-৪২, ধারা-৯(৩),তারিখ-০৯/১১/২০২২ইং, বাদীঃ লিজা, উল্লেখিত মামলার জামাল ১নং আসামী। যাত্রাবাড়ি থানায় মামলা হওয়ার সময় ঐ থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মাজহারুল ইসলাম (কাজল) দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিলেন।
উল্লেখিত মামলার বিষয় তিনি ভালো করে অবগত আছেন। জামাল উক্ত মামলায় এখনও জামিনে মুক্ত হননি মামলায় পলাতক রয়েছে এছাড়া জামারের বিরুদ্ধে ডিএমপির সবুজবাগ থানা, কোতয়ালী থানা, ফতুল্লা থানা, কুমিল্লা দেবিদ্বার থানা, ওয়ারী থানা, কদমতলী থানাসহ বহু থানায় তার বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে সব কিছু জানার পরেও ওসি মাজহারুল ইসলাম (কাজল) এর সাথে মামলার আসামীর সুসম্পর্ক থাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তদন্ত কর্মকর্তা জামালকে গ্রেফতার করে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই মামলার এক আসামী জানান একই ঘটনায় দুটি মামলা হয়
প্রথমে ডেমরা থানার গণধর্ষণ মামলা নং২৩, তারিখ-১৭/১০/২০২২ইং, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-৯(৩), বাদী-লিজা। পুলিশের চাঁপের মুখে পরে স্বীকার করেন ডেমরা থানার গণধর্ষণ মামলাটি মিথ্যা একজন মানবাধিকার কর্মী মোঃ আলমগীর সেলিম সহ আরো কয়েকজনকে ফাঁসানোর জন্য সরকার জামাল ওরফে জামাল এবং মিরাজ নামক দুই ব্যক্তি তাকে দিয়ে পরিকল্পিত ঘটনা সাজিয়ে একটি নারী পাচারকারী সিন্ডিকেট ১। সাজ্জাদ ২। জামাল ৩। জাভেল হোসন পাপন ৪। জাবেদ হোসেন মিঠু ৫। সাইদুল ৬। হুমায়ুন কবির ৭। শাকিল ৮। আবু কালাম জয় গংরা লিজাকে ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক মজুরী দেওয়ার কথা বলে অজ্ঞাতনামা চারজনকে দিয়ে পালাক্রমে অসামাজিক কার্যকলাপ করিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করে সার্টিফিকেট এনে নাটকীয় মামলাটি ডেমরা থানায় দায়ের করেন। তৎকালীন ডেমরা থানা পুলিশ কর্মকর্তারা গোপন সূত্রে জানতে পারেন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে নিরপরাধ লোকদের ফাঁসাতে লিজাকে দিয়ে একটি নারী পাঁচারকারী সিন্ডিকেট ডেমরা থানায় সাজানো নাটকীয় মামলা দায়ের করেন।
এরপর নাটকের গুরু যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কাজল তরিঘরি করে তিনি হঠাৎ করে দুই দিনের ছুটি কাটিয়ে নতুন করে নাটক সাজিয়ে ঐ ঘটনায় পুনরায় যাত্রাবাড়ি থানার ওসি তদন্ত মহিতুল কে একটি মামলার এজাহার নিতে বলে। মামলায় উল্লেখ করেন ডেমরা থানার মামলার ঘটনাস্থল ভুল ছিল প্রথম ঘটনাস্থল এর ঠিকানা যাত্রবাড়ি হবে তাই যাত্রাবাড়ি থানায় নতুন করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং-৪২, এই মামলার এজাহারে ঘটনার গড়মিল দেখিয়ে হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন নামক সংস্থার মহা-সচিব মোঃ আলমগীর সেলিমকে ৩নং আসামী করে একটি মামলা রুজু করেন। বর্তমানে ডেমরা থানার মামলাটি ফাইনাল হলেও যাত্রাবাড়ি থানার মামলার তদন্ত চলছে। এরিমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাল্টিয়েছেন ৩ জন।
তবে মোঃ আলমগীর সেলিম এ মামলা ছাড়াও যাত্রাবাড়ি থানায় একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়ায় তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় আইজিপি হয়ে পুলিশের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন মহলে লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত অভিযোগের আলোকে ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ডিভিশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছেন। আর এদিকে মাজহারুল ইসলাম কাজল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কারী মোঃ আলমগীর সেলিমকে পুনরায় নানা ধরনের মিথ্যা মামলা ও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে এক সূত্র মতে জানা যায়।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানা অফিসার ইনচার্জ মাজহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি।