সিএনএমঃ
নূরে আলম ও আবদুর রহিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিএনপি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মহাসচিব বলেন, বৈঠকে বিদ্যুতের লোডশেডিং, বিদ্যুতের চরম অব্যবস্থাপনা জ্বালানি তেল, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদির মূল্যবৃদ্ধি ও ভোলায় ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে এই ধরনের হামলা ও বেআইনিভাবে গুলিবর্ষণেরও তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং পুলিশের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘চলমান আন্দোলন গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেসব উপজেলা, থানা, পৌরসভা কর্মসূচি পালিত হয়নি, সেইসব উপজেলা, থানা এবং পৌরসভায় কর্মসূচি অব্যাহত রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে মিয়ানমার থেকে ছোড়া দু’ টি মর্টারশেল পড়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটচে। যা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ।
এসময় রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় গত ১০ বছরে এ পর্যন্ত ৯১ বার পেছানোয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রভাবশালী সরকারি দলীয় ব্যক্তিরা জড়িত থাকার কারণে নজিরবিহীন বিলম্ব হচ্ছে। অবিলম্বে এই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।