বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় তার নাম আসে। সামলাতে হয় গোটা একটা দেশ। রাজনীতির কঠিন মারপ্যাঁচের পর, স্বভাবতই কাঠখোট্টা, জটিল-কুটিল নানা হিসেব নিকেশ করেই তাকে চলতে হয়।
তবে বেলাশেষে তিনিও একজন মা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ দেশের মানুষ যতটা চেনে, ব্যক্তি শেখ হাসিনা বা শেখ হাসিনার জীবনের মায়ের অংশটুকু সাধারণ মানুষের ততটা পরিচিত না।
আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করে একদিকে তিনি নিজের দৃঢ় সংকল্পের স্পষ্ট সাক্ষর রাখলেন ইতিহাসের পাতায়। উদ্বোধনের পর সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর ‘ফ্লাইং ডিসপ্লে’ উপভোগ করছিলেন শেখ হাসিনা, সঙ্গে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও ছিলেন।
সেখানেই মা-মেয়ের নিবিড় সম্পর্কের একটা চিত্র ধরা পড়ল প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে। আক্ষরিক অর্থেই রাজ্যের চিন্তা মাথায় রেখে যে মানুষটাকে সকালে উঠতে হয় আর ঘুমাতে যেতে হয়, তার ভেতরেও যে লুকিয়ে রয়েছে একদম সাধারণ এক মা, এই একটি ভিডিওই তার সর্বোচ্চ প্রমাণ।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক তার ফেসবুক পেজে এ ঘটনার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। সঙ্গে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন-
আমি তোমার ছায়ায় ছায়ায় থাকি মা
আমি তোমার চোখের তারায় বাঁচি মা,
আমি তোমার মায়ায় মায়ায় থাকি মা
আমি তোমায় হাওয়ায় আবার ডাকি মা,
আমি তোমায় ভালোবাসায় মুড়ে, রাখি মা।
প্রকাশিত ভিডিওটিতে দেখা যায় পদ্মা সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে হাতে ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, পাশেই দাঁড়ানো শেখ হাসিনা। প্রমত্ত পদ্মার এলেমেলো হাওয়ায় খয়েরি শাড়ি পরা পুতুলের চুলগুলো উড়ছিল।
এরপরই পুতুল মায়ের দিকে ঘোরেন। মাস্ক পরে থাকা পুতুল মাকে কিছু বলেন কি না তা স্পষ্ট বোঝা যায় না। তবে তার আগেই মাথায় হাত দিতে দেখা যায় শেখ হাসিনাকে। যে পাশ থেকে ভিডিওটি করা হয়েছে তার বিপরীত পাশে, কয়েক সেকেন্ড চুলে হাত রেখে নিজের মাথায় থাকা একটি কালো ক্লিপ খোলেন তিনি।
এরপর মেয়ের দিকে ঘুরে ক্লিপটি কিছুক্ষণ হাতে ধরে রাখেন শেখ হাসিনা। মায়ের হাতে ক্লিপ দেখে এলোমেলো বাতাসে উড়তে থাকা চুলগুলো দু’হাতে ঠিক করে এক হাত দিয়ে মায়ের হাতে থাকা ক্লিপটি নিয়ে নেন।
তারপর খুব সাধারণ একটা বাঙালি মেয়ের মতো করেই ক্লিপটি মুখ দিয়ে একটু টেনে ধরে ঠিকঠাক করে মাথার পেছনের দিকে গুঁজে দেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘মা’ ততক্ষণে আবার সামনের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে যান, ফেরেন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায়।