সিএনএম২৪ডটকমঃ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং দু’দিনের সরকারি সফরে আজ সকালে এখানে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভুটানের রাজার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ডা. লোটে শেরিং বাংলাদেশ সফরে আসেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে ভুটানিজ এয়ারলাইন্স ড্রাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ সকাল সাড়ে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বাংলাদেশে ১০ দিনব্যাপী স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা বিশ্ব নেতাদের মধ্যে চতুর্থ হলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলের তোড়া দিয়ে বিমানবন্দরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এসময় রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানাতে ২১ বার গান স্যালুট দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল ভূটানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং অস্থায়ীভাবে বানানো মঞ্চে অবস্থান করে রাষ্ট্রীয় সম্মান উপভোগ করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় সংঙ্গীত বাজানো হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি প্যারেড পরিদর্শন করেন। এর পরপরই উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিনিধিদের পরস্পরকে পরিচয় করে দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ও তিনবাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবেন।
শেরিং স্মৃতিসৌধে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন এবং স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করবেন।
২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল তার রোপণ করা মিমুসোপস ইলাঙ্গি ভ্যারিগাতা চারাগাছটিও তিনি পরিদর্শন করবেন।
পরে, তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে যাবেন।
তিনি স্মৃতি যাদুঘর ঘুরে দেখবেন এবং সেখানে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
পরে, তার বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের বাসভবনে সেক্রেটারি জেনারেল ও ডিরেক্টরদের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন হোটেলের প্রেসিডেন্টশিয়াল স্যুটে শেরিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। তার এ সফরকালে সেখানে তিনি অবস্থান করবেন।
সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভোজসভার আয়োজন করবেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে শেরিংয়ের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর তিনি সেখানে পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
হোটেল স্যুটে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চাং এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির ডা. মো. মামুন খানের সঙ্গে পৃথকভাবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি সেখানে রাখা পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করবেন।
বিকেলে শেরিং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ন্যাশনাল প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানাবেন।
‘দি ইটারনাল মুজিব’ থিম নিয়ে ২০২১ সালের ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০দিনব্যাপী এ উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সর্বশেষ বিশ্বনেতা হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৬ মার্চ এখানে পৌঁছাবেন এবং ২৭ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবেন।
এর আগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মাদ সোলিহ ও তার স্ত্রী ফাজনা আহমেদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবি ভান্ডারি ষষ্ঠ দিনের সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।