মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে চলে গেছে বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ। অনেকে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাকও দিয়েছে। যদিও নুপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, নুপুর শর্মার মন্তব্য সরকারের ভাবনার সঙ্গে মেলে না।
এ বিষয়ে ভারতীয় একটি বিশেষ বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, অনেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী এই সময়ে ভুয়া স্ক্রিনশট শেয়ার করে অনেক মিথ্যা খবর ছড়িয়েছেন। সবচেয়ে ভাইরাল হওয়া একটি দাবি ছিল যে ইংলিশ ক্রিকেটার মইন আলির ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বয়কট করার খবর।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, ওমানের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আহমাদ বিন হামাদ আল-খলিল ভারতীয় পণ্য বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও এটি মিথ্যা খবর। তিনি নুপুর শর্মার মন্তব্যের সমালোচনা করলেও, ভারত বয়কট করার কোনো ঘোষণা দেননি।
অবসরপ্রাপ্ত পাকিস্তানি কূটনীতিক আব্দুল বাসিত, যিনি ভারতে পাকিস্তানের প্রাক্তন হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এক সাক্ষাত্কারে বাসিত বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা নবীন জিন্দালের পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিলেন। বিজেপি নেতা নবীন জিন্দালকে শিল্পপতি সজ্জন জিন্দালের ভাই বলে সম্বোধন করেছিলেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ওই সময়ে যারা টুইটারে ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগগুলো ছড়াচ্ছিলেন তাদের প্রোফাইল যাচাই করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, সাত হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট পাকিস্তানের ছিল। প্রায় তিন হাজার ইউজার সৌদি আরবের। আড়াই হাজার ভারতের, এক হাজার ৪০০ মিশর থেকে এবং এক হাজারেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কুয়েত থেকে এসেছে।
এদিকে মহানবীর সম্পর্কে বিজেপির বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারতের বিভিন্ন অংশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশাসন ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশে ২৫০ জনেরও বেশি লোককে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং অন্যান্য রাজ্যেও মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে অনেককে।