গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের লাঠি ও প্যান্টের বেল্ট দিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে। শনিবার (০৭ মে) রাত ৮টার দিকে অষ্টম তলার পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে শহরের সামন্তপুর এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইলিয়াস (২৮) ৮১০ নং পুরুষ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। রাত ৮টার দিকে তার বড় ভাই এমদাদ ওষুধ দিতে ওয়ার্ডে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেয় আনসার সদস্য শাহ্জালাল। এক পর্যায়ে জোর করে ভেতরে ঢুকতে গেলে আনসার সদস্য এমদাদের শার্টের কলার ধরে টেরে বাইরে এনে চড়থাপ্পড় দেন। এমাদাদ পাল্টা ঘুষি দেন আনসারকে।
ক্ষুব্ধ হয়ে আনসার সদস্য ফোনে অন্য আনসারদের ডেকে আনেন। আনসাররা লাঠিসোটা নিয়ে এসে এমদাদকে বেদম পিটুনি দেয়। তাকে রক্ষা করতে গেলে ভাতিজা হাসিব ও মামা হাবিবকেও বেল্ট দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে আনসাররা। পরে আহতদের ধরে নিচে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে এমদাদের বাবা হাসপাতালে যান।
শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার কমান্ডার মো. মঞ্জু মিয়া জানান, রোগীর স্বজনরা আনসার শাহ জামালকে মেরেছিল। বিষয়টি রাতেই মীমাংসা হয়ে গেছে। রোগীর স্বজনরা ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন।
শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. তপন কান্তি সরকার জানান, আনসার ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়েছিল। বিষয়টি উভয় পক্ষ মীমাংসা করে নিয়েছেন।