কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক কথিত পীরের বিরুদ্ধে দখলসহ জমি লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতালি প্রবাসী ভুক্তভোগী নবী হোসেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযুক্ত কথিত পীর মো. আব্দুল হক চিশতী পরদেশীর (৫২) বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী নবী হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, অভিযুক্ত পীর মো. আব্দুল হক চিশতী পরদেশী তারই আপন ভগ্নিপতি। সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে তার বায়নাকৃত জমি লিখে নেয় কথিত ওই পীর। এছাড়াও ভুক্তভোগীর আপন ছোট ভাইয়ের ৫ শতাংশ একটি জায়গার পাওয়ার অব এটর্নি নিয়ে জবর দখল করার অভিযোগ করেন।
বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু সরণির ভিআইপি প্লাজার উত্তরপাশে ভৈরবপুর মৌজার-সিএস দাগনং ৭৯৬৩ ও আরওআর দাগনং ৮৭৩৭ শ্রেণী নামা, পরিমাণ ৩.৫০ শতাংশ জমি দশ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিক্রয় মূল্যের মধ্যে তিন লাখ টাকা দিয়ে বায়না দলিল করার পর ভুক্তভোগী নবী হোসেন ইতালিতে চলে যান।
পরবর্তীতে, ভগ্নিপতি ওই পীরের কাছে বাকি সাড়ে ৭ লাখ টাকা পাঠান জমিটি দলিল করার জন্য। কিন্তু তার নামে দলিল না করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কথতি পীর আব্দুল হক চিশতী পরদেশী তার নিজ নামে দলিল করে জায়গাটি দখল করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কথিত পীর আব্দুল হক পরদেশী একজন ভণ্ড ও প্রতারক। পীরের লেবাস লাগিয়ে বিভিন্ন মানুষের জমি দখলে লিপ্ত রয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট, ভৈরব সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ৩৭৭০/২০নং দলিলে ৩.৫০ শতাংশ জমি নিজ নামে লিখে নেন। প্রতারণার বিষয়টি তিনি জানার পর সামাজিকভাবে শালিস দরবারের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৩৯৪০/২০নং দলিলের মাধ্যমে সাড়ে ৩ শতাংশের মধ্যে ২শতাংশ জমি ফেরত দিয়ে ভুক্তভোগীর নামে দলিল দেন ওই প্রতারক। এবং বাকি ১.৫০ শতাংশ জমি কিছুদিন পর দলিল করে দিবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু সেই জমি ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবারকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নবী হোসেন বাদি হয়ে পীর মো. আব্দুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে সিআইডি পুলিশ সুপার নরসিংদী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও ওই পীরের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নরসিংদীতে মামলা দায়ের করেছেন আরেক ভুক্তভোগী রায়পুরা উপজলোর আ. ছালাম ভূইয়ার ছেলে আ. রহমান।
এসব ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ভুক্তভোগী। তাই সঠিক সমাধানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দায়িত্বশীল লোকজনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।