ঈদের পর আসবে শ্রীলঙ্কা দল, নির্দিষ্ট করে বললে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে লঙ্কানরা ঢাকায় পা রাখবে ৮ মে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরু হবে ১৫ মে। সেই হিসাবে হাতে এখনও ১৯ দিন সময় আছে। কিন্তু আঙুলে যে চোট পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সেই চোট ওই কদিনে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। তাই নিশ্চিত করেই লঙ্কানদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলা হবে না এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডারের। শুধু তাই নয়, মিরপুরে ২৩ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজের দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত টেস্টেও দর্শক হয়ে থাকতে হতে পারে তাকে।
রোববার বিকেএসপিতে শেখ জামালের হয়ে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে নেমে চোট পান মিরাজ। প্রতিপক্ষ প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার তামিম ইকবালের উঠিয়ে মারা বল তালুবন্দি করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডাকেন প্রথম টেস্টের ১৬ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া এই তরুণ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, করা হয় এক্স-রে। তাতেই মিলেছে দুঃসংবাদ। ডান হাতের কনিষ্ঠার হাড় নড়ে গেছে, চিড়ও ধরেছে। মেডিকেলের ভাষায় একে অ্যাভালশন ফ্যাকচার বলে। এ ধরনের চোট থেকে সেরে ওঠে মাঠে ফিরতে সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লেগে যায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সোমবার সময়ের আলোকে বললেন, ‘মিরাজের ডান হাতের পঞ্চম আঙুলের (কনিষ্ঠা) হাড় নড়ে গেছে। চিড়ও ধরা পড়েছে। নড়ে যাওয়া হাড় আমরা ঠিক জায়গায় বসিয়ে দিয়েছি। আপাতত ও দুই সপ্তাহের বিশ্রামে থাকবে। এরপর আঙুলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে দেখব আমরা।’ চোটমুক্ত হতে কতদিন লাগতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে দেবাশীষ বলেন, ‘এ ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে সাধারণত তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগে। দুয়েকদিন এদিক-সেদিক হতে পারে।’
তা হলে তো চট্টগ্রামে হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না মিরাজ। দেবাশীষ অবশ্য কথাটা সরাসরি বলতে চাইলেন না, ‘প্রথম টেস্ট মিরাজ খেলতে পারবে কি না, এসব তো মেডিকেলের ভাষায় আমরা বলতি পারি না। দুই সপ্তাহ পর আমরা ওর আঙুলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব। তখনই কেবল বলতে পারব ও কবে থেকে মাঠের খেলায় ফিরতে পারবে।’
দেবাশীষ সরাসরি বলতে না পারলেও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু প্রথম টেস্টে মিরাজের খেলার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না, ‘ওকে তিন সপ্তাহের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রথম টেস্টে ওর খেলার সম্ভাবনা তাই আর নেই।’
স্বাভাবিকভাবেই এখন মিরাজের বিকল্প খুঁজতে হবে নির্বাচকদের। হাতের কাছেই যেহেতু নাঈম হাসান আছেন, এ ক্ষেত্রে তাই অতশত ভাবার প্রয়োজন পড়বে না তাদের। এ পর্যন্ত ৭টি টেস্ট খেলেছেন ২২ বছর বয়সি এই অফস্পিনার। ২৬.২৪ গড়ে ২৫ উইকেট শিকার করে নিজের সামর্থ্যরেও প্রমাণ রেখেছেন নাঈম। তবে লঙ্কা সিরিজে মিরাজের দর্শক হয়ে থাকাটা দলের জন্য বড় ধাক্কাই হবে। চোটের থাবায় পেস আক্রমণের শক্তি কমেছে আগেই, মিরাজের অনুপস্থিতি স্পিন আক্রমণের শক্তিও খর্ব করছে এবার।