ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাভারের এক ব্যবসায়ীর ঝুটবোঝাই ট্রাক ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শুক্কুর আলী।
বৃহস্পতিবার ( ৭ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের রাজাশন পৌর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাভারের মিটন গ্রামের মুনাইম খানের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৬), চাপাইন তালতলা এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে ও ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোবারক হোসেন খান পলক (২৫), সাভার সদর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান (৪৫) এবং মিটন গ্রামের সুলতান খানের ছলে আলাল খান (৫০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভারের মিটন গ্রামের ফকির বাড়ির মোড় এলাকার এনআরএন নিটিং অ্যান্ড গার্মেন্টস লিমিটেড ও আউটলেট স্টিচেস লিমিটেড নামক দুটি কারখানায় ঝুট ব্যবসা করে আসছিলেন মোহাম্মদ শুক্কুর আলী ও মো. মতিয়ার রহমান। বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানা থেকে ঝুট দুটি ট্রাকে লোড করে ফুলবাড়িয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এর মধ্যে একটি ঝুটবোঝাই ট্রাক ফুলবাড়িয়া যায়। তবে পেছনের ট্রাকটি রাজাশন এলাকার পলু মার্কেটের কাছে গেলে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল যোগে এসে ট্রাকটির গতিরোধ করে।
এ সময় দুই নেতাকর্মী ট্রাকে উঠে চালককে ছুরি ধরে জিম্মি করেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চালক ঝুটবোঝাই ট্রাকটি আক্রান, চারাবাগ হয়ে কাঠগড়ার দিকে নিয়ে যান। পরে সেখানে তারা ঝুট আনলোড করে ট্রাকসহ চালককে ছেড়ে দেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. শুকুর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ব্যবসার অংশীদার হতে চায়। আমরা রাজি না হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার লাখ টাকার ঝুটসহ একটি ট্রাকের চালককে জিম্মি করে ঝুট নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোবারক হোসেন খান পলক বলেন, আমার বাড়ি চাপাইন। আমি ঘুম থেকে উঠে এসব কথা শুনতেছি। সাংবাদিকদের কাছে এমন ঘটনা শুনলাম। এ ঘটনায় আমি জড়িত ছিলাম না। জড়িত থাকার প্রমাণ দেখাতে পারলে সর্বোচ্চ শাস্তি মাথা পেতে নেব। তবে আমি জড়িত না থেকেও আমার সম্মানহানি করেছে।
ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ঝুট ছিনতাইয়ের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।