রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের অন্যরকম এক আগ্রহ রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তা নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে ১৭ বছর গুপ্তচর সংস্থায় কাজ করা পুতিন তার ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে একদমই পছন্দ করেন না।
তারপরও পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা থেমে থাকেনি। সংবাদমাধ্যমগুলোও সুযোগ পেলেই তুলে এনেছে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এ নেতার ব্যক্তিগত জীবনের নানা গল্প। তেমনই একটি গল্পের চরিত্র বিশ্বনন্দিত অলিম্পিয়ান আলিনা কাবায়েভা; বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে যাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় পুতিনের গোপন বান্ধবী বলে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গুঞ্জন উঠেছে পুতিনের গোপন এই প্রেমিকা লুকিয়ে আছেন সুইজারল্যান্ডে। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।
আলিনা কাবায়েভা একজন প্রাক্তন জিমন্যাস্ট। আলিনা সুইজারল্যান্ডে লুকিয়ে আছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ আলিনার বিরুদ্ধে অনলাইন পিটিশন শুরু করেছে, যেখানে তাকে সুইজারল্যান্ড থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। এই পিটিশনে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
আলিনার বয়স ৩৮ বছর এবং তিনি অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়ী। এর পাশাপাশি তিনি পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি থেকে এমপিও হয়েছিলেন। এখন দাবি করা হচ্ছে আলিনা তার তিন সন্তানকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল ভিলায় লুকিয়ে থাকতে পারেন। আলিনা ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ান সরকার সমর্থিত ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন।
আলিনাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। বলা হয়, ওই সময় তিনি ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আলিনা অলিম্পিকে দুটি স্বর্ণপদক জিতেছেন, ১৪টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২৫টি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন। খেলাধুলা থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। অনেক বিদেশি মিডিয়া হাউস দাবি করেছে যে আলিনা পুতিনের বান্ধবী। যদিও পুতিন কখনোই প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেননি।
আলিনা এবং পুতিনের নাম প্রথম একে অপরের সাথে যুক্ত হয়েছিল ২০০৮ সালে। ২০১৯ সালে, খবর ছিল যে আলিনা মস্কোর একটি হাসপাতালে দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ সময় হাসপাতালের ভিআইপি ফ্লোর খালি করা হয়।