পশ্চিমা দেশগুলোতে রাশিয়া সাইবার হামলা চালাতে পারে বলে যে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার জবাবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে— রাশিয়া কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।
ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি ও মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার এ সম্পর্কে বলেন, ‘রাশিয়া কখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না; আর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের মতো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোনো প্রকার ডাকাতির সঙ্গেও রাশিয়ান ফেডারেশনের কোনো যুক্ততা নেই।’
সোমবার জো বাইডেন এক বক্তব্যে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশসমূহের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত কোম্পনিগুলোর উচিত নিজেদের ওয়েবসাইটের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; কারণ যে কোনো সময় রাশিয়া এসব কোম্পানির ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চলাতে পারে।
একই দিন বাইডেনের কথার প্রতিধ্বনি করেন হোয়াইট হাউসের সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা অ্যানি নিউবের্গারও। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বড় বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলোর উচিত নিজেদের সাইবার সুরক্ষা আরও উন্নত করা—কারণ রাশিয়া কখন সাইবার হামলা করবে, তার কোনো ‘নিশ্চয়তা নেই’।
মঙ্গলবার ক্রেমলিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতিক্রিয়া জানালেন পেসকভ।
পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি ন্যাটো দেশটিকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্য’ মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।
ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনকে চাপে রাখতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।
কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।
অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার ২৭তম দিনে পৌঁছেছে এই অভিযান।
সূত্র: রয়টার্স