চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
প্রবর্তক মোড় থেকে পাঁচলাইশ যাওয়ার পথে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তা প্রস্থে বেড়েছে আরও ১০ ফুট। কিন্তু এ রাস্তার মাঝখানে এখনো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। ফলে বর্ধিত রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ তো হচ্ছেই না, উল্টো সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কাজের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে না জানানোর ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রবর্তক মোড় থেকে পাঁচলাইশ রাস্তার দক্ষিণ পাশে প্রায় ২০০ মিটারের মতো বাড়ানো হয়। শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরটরির পশ্চিমে রাস্তাটির উত্তর পাশে ড্রেনের উপরে স্ল্যাব বসানো হয় ও দক্ষিণ পাশে প্রায় ১০ ফিট বাড়ানো হয়। ফলে এ রাস্তাটি প্রায় ১৫ ফুট বর্ধিত হয়েছে। কিন্তু রাস্তার দক্ষিণ পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় বর্ধিত অংশ যান চলাচলে মোটেই সহায়ক হয়নি। এ বর্ধিত অংশের কোনো কোনো জায়গায় বেশ কিছু প্রাইভেট কার ও রিকশা পার্কিং করে আছে।
স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপের একজন কর্মী বলেন, ‘এখানে গাড়ি চলাচল বিশেষ কিছু সময়ে বেশি হয়। বিশেষ বলতে, যখন রোগীরা আসে। তখন ডাক্তারের গাড়ি শেভরনের পার্কিংয়ে থাকলেও রোগীদের গাড়ি ওখানে জায়গা পায়না। তাই তারা রাস্তার বাড়ানো জায়গায় পার্কিং করে। রাস্তার এ অংশটা বাড়িয়ে আর কোনো সুবিধা হয়নি। আগামীতেও হবে না, যদি এ অংশ রাস্তা বড় করে শেভরনের সামনে থেকে পাঁচলাইশ পর্যন্ত রাস্তা ছোট থাকে। এছাড়া জায়গাটি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করলে সেটা ওভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। রাস্তার মাঝে এমন খাম্বা (বৈদ্যুতিক খুঁটি) থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম কার্যলয়ের কোনো নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাওয়া হয় দপ্তরটির প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানুর কাছে। তিনি বলেন, ‘রাস্তার মাঝে যদি বৈদ্যুতিক খুঁটি পড়ে, তাহলে বিষয়টি যে সংস্থা রাস্তাটি বর্ধিত করেছে তারা জানানোর কথা। আমিতো এ দায়িত্বে কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকবে না। এ সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর বিষয়ে কি করা যায় তা আমি দ্রুত সময়ে দেখবো। আশা করি, বৈদ্যুতিক খুঁটির জন্য কোনো সমস্যা থাকবে না।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার (বৈদ্যুতিক শাখা) ঝুলন কুমার দাশ বলেন, ‘এ সড়কটি বাড়ানোর কাজ করেছে সিডিএ। সিডিএ কাজটি আমাদের জানিয়ে না করার কারণে আমরা রাস্তা বাড়ানোর কাজের সাথে সাথে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে পারিনি। এখন যে খুঁটিগুলো আছে সেখানে পিডিবি’র খুঁটিও আছে, সিটি করপোরেশনেরও আছে। যার খুঁটি সে সরাবে। আমাদেরগুলো সরানোর জন্য আবেদন করেছি। অনুমোদন পেলে সরানো হবে।’