সিএনএম প্রতিবেদকঃ
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কানাডিয়ান বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি আবারও পেছালো। এ নিয়ে ৩৪তম বারের মতো শুনানি পিছিয়ে চার্জ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বেগম জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর আইনজীবীদের করা সময় আবেদন মঞ্জুর করে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ তারিখ ধার্য করেন।
আদালতে বেগম জিয়ার পক্ষে সময় আবেদনে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, জাকির হোসেন, জিয়া উদ্দিন জিয়া ও অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস।
শুনানি শেষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ। এছাড়া মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। এ কারণে আসামিদের অনুপস্থিতিতে শুনানি সম্ভব নয়। এজন্য সময় প্রয়োজন।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি বহুল আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বেগম জিয়ার অসুস্থতার কারণে সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু আজও আরও এক দফা এ তারিখ পেছানো হলো।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
খালেদা জিয়ার ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।