1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজধানীর ৩৫ হাজার রিকশাচালক পাচ্ছেন ছাতা ও স্যালাইন ক্ষমতার জন্য বিএনপি বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করছে : ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রাবাড়িতে পপুলার ও বলাকা আবাসিক হোটেলে মাদক বেচা-কেনা ও সেবনের মেলা মিলেছে বসেছে নারী বেচা-কেনার হাট বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না যুদ্ধ ব্যয়ের অর্থ জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ব্যবহার হলে বিশ্ব রক্ষা পেত: প্রধানমন্ত্রী আসামী প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুজে পায় না তাকে আরআরএফের সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিজান, সম্পাদক নিশাত বিজয়

রুটিন কূটনীতি নয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক চায় ঢাকা

  • আপডেট সময় সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২, ১০.২৭ এএম
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের বড় দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকার গৎবাঁধা রীতি থেকে বের হতে চায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ রুটিন-দায়িত্ব থেকে বের হয়ে ছোট দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি মনোযোগী হতে চায় ঢাকা। সেই লক্ষ্যে দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশ মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা চলছে। আশা করা হচ্ছে, এসব দেশের সঙ্গে বেশি বেশি যোগাযোগ বাড়িয়ে রপ্তানি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জলবিদ্যুৎ, দক্ষ কর্মীদের কর্মসংস্থানসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরও বেশি সুবিধা আদায় করবে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানতে পেরেছে ঢাকা পোস্ট। তারা বলছেন, কেন সবসময় বড় দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে? ছোট দেশগুলোর মধ্যেও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন করে ভাবার। সেজন্য দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ছোট দেশগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা চলছে। দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরিতে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।

কেন সবসময় বড় দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে? ছোট দেশগুলোর মধ্যেও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন করে ভাবার। সেজন্য দক্ষিণ এশিয়ার ছোট ছোট দেশগুলো নিয়ে কাজ করার চেষ্টা চলছে

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমাদের আশেপাশে এতগুলো দেশ; কেন দেশগুলোর মধ্যে সুযোগ মেক্সিমাইজ (সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া) করব না? আমি কেন সবসময় বড় দেশগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকব?’

‘আমরা মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সম্পর্কটা জোরদারের চেষ্টা করছি। দেশগুলোর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের এমন কিছু এরিয়া (এলাকা) আছে, যেখানে আমরা মনোযোগ দিলে ভালো কিছু পেতে পারি। এক্সপোর্ট (রপ্তানি) ইস্যু আছে, হাইড্রোপাওয়ার (জলবিদ্যুৎ) ইস্যু আছে, ট্রেড (বাণিজ্য) ইস্যু আছে। আমরা তাদের থেকে আরও বিনিয়োগ পেতে পারি। এছাড়া কিছু জায়গায় ডাক্তার বা নার্সের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। এ জায়গাগুলোতে একটু এক্সপ্লোর (অন্বেষণ) করলে অনেক কিছু আমরা পেতে পারি।’

dhakapost
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন / ফাইল ছবি

বড় দেশগুলোর বাইরে অন্যদের সঙ্গে ‘রুটিন কূটনীতি’ প্রথা থেকে বের হওয়া জরুরি— মনে করেন সচিব মাশফি। বলেন, ‘আমাদের কতগুলো গৎবাঁধা বিষয় আছে। ভারত, চায়না (চীন) ও জাপান বিগ ডোনার (বড় দাতা)। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বড় মার্কেট (বাজার)। যুক্তরাষ্ট্র ডাবল সুপারপাওয়ার (পরাশক্তি)। এ চার-পাঁচটা দেশ ছাড়া আমরা অন্যদিকে টেকসই মনোযোগ হয়তো-বা দিতে পারছি না বা দিইনি অথবা ঘাটতি আছে আমাদের। আমরা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রুটিনমাফিক দেখি। আমাদের তো উচিত সবকিছু মেক্সিমাইজ করা। রুটিনের বাইরে যদি একটু মনোযোগ দিই, আমার মনে হয় আমরা বাড়তি কিছু পেতে পারি। সেজন্য আমি ওই জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের জেনারেল পলিসি হচ্ছে, ‘সবার সঙ্গে সম্পর্ক, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’। বঙ্গবন্ধু এর সঙ্গে আরেকটা বিষয় যোগ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখব। সেই কারণে উনি ৭৪ সালে অনেকে বাঁধা দেওয়ার পরও পাকিস্তান সফর করেন। বিশ্বে আমরা এখন ইন্টারকানেক্টেড (পরস্পর সংযুক্ত) ও ইন্টারডিপেন্ডেন্ট (পরস্পর নির্ভরশীল)। এজন্য আমরা আমাদের সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। আমাদের বেসিক এলিমেন্ট (মোলিক উপাদান) সবার সঙ্গে কানেক্টিভিটি (সংযোগ)। এটি হলেই প্রোডাক্টিভিটি (উৎপাদন সক্ষমতা) বাড়বে। আমরা প্রতিটি প্রতিবেশীর সঙ্গে কানেক্টিভিটির মাধ্যমে প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে চাই। আমরা চাই ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ুক, দেশে বিনিয়োগ আসুক।’

‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল’— এমনটি আখ্যা দিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের ঝামেলায় ফেলছে। আমরা কিন্তু তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। এজন্য আমরা তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। শুধু আমাদের চাওয়া হচ্ছে, তাদের লোকগুলো (রোহিঙ্গা) নিয়ে যাক। আমাদের নীতি হচ্ছে, গুড কানেক্টিভিটি অ্যান্ড ফ্রেন্ডশিপ টু অল; বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে। পুরো এশিয়া নিয়ে আমাদের একটি পরিবার। আমি তো চাই এশিয়ার মধ্যে কোনো ভিসা প্রথা না থাকুক।’

dhakapost
 পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস / ফাইল ছবি

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক

মালদ্বীপ : আদর্শ প্রতিবেশীর উদাহরণ টানতে গেলে বাংলাদেশের জন্য মালদ্বীপ তালিকার প্রথম সারিতে থাকবে। কারণ, দেশটি বাংলাদেশকে বরাবরই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়া বা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি অভিবাসীদের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় বাজার মালদ্বীপ।

মালদ্বীপের দূতাবাসের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় লাখ খানেক বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। এছাড়া দেশটি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী, বিশেষ করে ডাক্তার ও নার্স নিতে আগ্রহী।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশটি সফরে গেলে ঢাকা ও মালের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তিসহ স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসাবিজ্ঞান (নবায়ন) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং উভয় দেশের যুব ও ক্রীড়া খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। উভয় দেশ যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে চট্টগ্রাম ও মালের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে কাজ করছে।

dhakapost
যোগাযোগ ও বাণিজ্য বাড়াতে চট্টগ্রাম ও মালের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচলের বিষয়ে কাজ চলছে / ছবি- সংগৃহীত

এ বিষয়ে সচিব মাশফি বিনতে শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সফরে মালদ্বীপ বিরল সম্মান দেখিয়েছে। দেশটি আমাদের বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখে। সেখানে আমাদের অনেক কর্মী রয়েছেন। নতুন করে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ওরা তো আমাদের এখান থেকে ডাক্তার-নার্স নিতে চায়। শিক্ষার ক্ষেত্রেও দুই দেশ সহযোগিতা বাড়াতে চায়। তাদের সঙ্গে ট্রেড বাড়ানোর সুযোগ আছে। এছাড়া সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে কাজ চলছে। ইউএস-বাংলা ওদের ওখানে ফ্লাইট চালু করেছে।

এ প্রসঙ্গে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (লেবার) মো. সোহেল পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের সবচেয়ে বেশি কর্মীর শ্রমবাজার মালদ্বীপ। বর্তমানে এক লাখের মতো লোক আছে সেখানে। তারা ট্যুরিজমের দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশেরও সুযোগ রয়েছে, আরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে।

‘এখানে (মালদ্বীপ) নতুন নতুন হাসপাতাল হচ্ছে। আমাদের ডাক্তার-নার্সরা সেগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। মেডিকেল ছাড়াও উচ্চ শিক্ষায় তারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চাচ্ছে। ট্রেড অ্যান্ড বিজনেসের বিষয়ও আছে। শিপিং লাইন হয়ে গেলে এটা আরও বাড়ার সুযোগ রয়েছে।’

সোহেল পারভেজ বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখানে ফ্রেশ ফুড পাঠানো গেলে ভালো মার্কেট ধরা যাবে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চালু করেছে। এভাবে আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রগুলো আরও প্রসারিত করতে পারলে আরও সুবিধা পেতে পারি।’

dhakapost
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে সেই অর্থে তেমন অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম নেই বাংলাদেশের / ফাইল ছবি

শ্রীলঙ্কা : শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে দ্বিপাক্ষিকভাবে সেই অর্থে তেমন অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম নেই বাংলাদেশের। এর কারণ হিসেবে দেশটির সরকার পরিবর্তন ও রাজনৈতিক অস্থিরতাকে দায়ী করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আগামী মার্চের শেষের দিকে কলম্বোয় বিমসটেক (বঙ্গোপসাগরীয় বহুমাত্রিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জোট) সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যদি সফর হয়, ঢাকা চাইবে সেই সুযোগে কলম্বোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে ফেলতে।

জানা যায়, ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে একটি ক্রুজ পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা এবং দুই দেশের মধ্যে পর্যটন সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে কাজ চলছে। শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গে সচিব মাশফি বলেন, ‘দেশটির সঙ্গে গত তিন-চার বছরে কোনো দ্বিপাক্ষিক এনগেজমেন্ট হয়নি আমাদের। শ্রীলঙ্কা ছোট হলেও মধ্যম আয়ের দেশ। ওখানে আমাদের এক্সপোর্ট ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়নের মতো। এটা আমরা সহজেই বাড়াতে পারি।’

‘শ্রীলঙ্কার প্রচুর বিনিয়োগ কিন্তু বাংলাদেশে আছে। প্রায় ১৫০০ থেকে ১৬০০ শ্রীলঙ্কান এখানে কাজ করেন। তাদের অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন। ওদের সঙ্গে কাজ করার মতো অনেক এরিয়া (ক্ষেত্র) আছে আমাদের। আরেকটু কষ্ট করলে তাদের কাছ থেকে নতুন অনেক কিছু পেতে পারি আমরা’— বলেন এ কূটনীতিক।

নেপাল : দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে খুব কম সময়ে সরকার পরিবর্তন অর্থাৎ রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগে রয়েছে নেপালে। দেশটি সবসময় অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। চীন আর ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশের প্রতি তেমন মনোযোগ নেই তাদের। তবে চীন ও ভারতের পর নিকট প্রতিবেশী হিসেবে দেশটির সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বিশেষ করে হাইড্রোপাওয়ার (জলবিদ্যুৎ) ইস্যু, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

dhakapost
নেপালের মানসিকতা এমন, পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে সেই খবর রাখতে রাজি নয় তারা / ফাইল ছবি

দীর্ঘ সময় নেপালে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস। দেশটিকে খুব কাছ থেকে দেখা শামস বলেন, ‘নেপাল নিজেদের বাইরে কিছুই বুঝতে চায় না। নিজের ডমিস্টিক পলিটিক্সের (ঘরোয়া রাজনীতি) বাইরে কিছুই বোঝে না। ওদের মানসিকতা এমন, পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে সেই খবর রাখতে রাজি নয়। চায়না (চীন) আর ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশ সম্পর্কেও ওদের আগ্রহ নেই। আমি যখন ওখানে ছিলাম বলতাম, ভারত-চায়নার পর সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশী বাংলাদেশ।’

‘দেশটি থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু পেতে পারে’ জানিয়ে সচিব মাশফি বলেন, ‘ওখান থেকেও আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। যেমন- হাইড্রোপাওয়ার ইস্যু আছে, ট্রেড ইস্যু আছে, বিনিয়োগ পেতে পারি। অনেক নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করেন। বেশকিছু নেপালি ইনভেস্টমেন্টও আছে বাংলাদেশে। এগুলো আরও পেতে চাইলে ওখানে সাসটেইন অ্যাটেনশন দিতে হবে। প্রেশার (চাপ) দিয়ে রাখতে হবে। যেহেতু তারা ননরেসপন্সসিভ (অপ্রতিক্রিয়াশীল), আমাদের যোগাযোগটা চলমান রাখতে হবে। প্রেশারটা রাখতে পারলেই আমরা ওদের সঙ্গে এনগেজ (জড়িত) হতে পারব। ওদের থেকে পেতে হলে রাষ্ট্রদূতকেও খুব অ্যাকটিভ (সক্রিয়) হতে হবে। অনেকে কিন্তু নেপালে গিয়ে হতাশ হয়ে যান— বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।’

ভুটান : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান নিয়ে একধরনের সফট কর্নার রয়েছে। দেশটি ছোট এবং বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। এ কারণে বাংলাদেশ থেকে কিছু চাইলেই পেয়ে যায় দেশটি। তবে, সেই অর্থে দেশটি থেকে তেমন কিছু পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তবে চেষ্টা করলে বাণিজ্য, হাইড্রোপাওয়ার ও বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।

dhakapost
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান নিয়ে একধরনের সফট কর্নার রয়েছে। কারণ, তারা বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় / ফাইল ছবি

ভুটান প্রসঙ্গে সচিব শামস বলেন, ভুটান থেকে আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার সুযোগ আছে। ওরা এখন ধনী দেশ। দেশটিতে মনোযোগ না দেওয়ার মতো কোনো সুযোগ আমাদের নেই। ছোট দেশ হলেও সেখানে আমাদের ট্রেড যেতে পারে। আমাদের হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট (উচ্চ মূল্যের পণ্য) যেতে পারে। ওখানে দামি জিনিস খুব সহজেই বিক্রি হয়। দেশটি থেকে আমরা বিনিয়োগও পেতে পারি।

ভুটানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়াশোনা করে। একটা সময় বাংলাদেশ থেকে ওরা অনেক পয়সা খরচ করে ডাক্তার নিত। সেই জায়গা তো আছে। হাইড্রোপাওয়ারও পেতে পারি আমরা’— বলেন মাশফি বিনতে শামস।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com