সিএনএম প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় স্বামী মাদক সেবন করে, স্ত্রী বিক্রি করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গোলাকান্দাইল দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত বায়েজ আলীর ছেলে মনিরের বাড়িতে দিন-রাত মাদক সেবন ও মাদক বেচাকেনা চলছে দেদারছে।
মনির মাদক সেবনকারী তার স্ত্রী রুবি মাদক বিক্রেতা। এছাড়া তার বাড়ির পাশে মৃত মফিজুরের ছেলে রিপনের বাড়িতেও মাদক বিক্রি চলে দিন-রাত। মাদকসেবীদের মধ্যে কেউ কেউ মাদক কিনে নিয়ে যায় আবার কেউ তাদের বাড়িতে বসেই সেবন করে থাকে।
মনির ও রিপনের বাড়িতে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ গাঁজাও সব সময়ই পাওয়া যায়।
আরো জানা যায়, মনির ও রিপন প্রায় ১২ বছর যাবৎ এই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। পুলিশের হাতে বার বার আটক হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তারা।
প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি না থাকায় দিন দিন এই মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মাদকের ভয়াল ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যুবসমাজ। বর্তমানে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক সেবনে।
এই মাদকের অর্থ জোগাড় করতে এরা অনেক সময় চুরি বা ছিনতাইয়ের মতো কাজও করছে। মাদক সেবীদের ভয়ে গোলাকান্দাইলে সব সময় আতঙ্ক বিরাজ করে। এমনকি রাস্তায় চলাচল করতে মানুষ হিমশিম খায়।
মনির ও রিপনের বাড়িতে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিকিকিনি হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন গোলাকান্দাইলবাসী।গোপনসূত্রে জানা যায়, গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় নতুন বাজারের পাশে সব ধরনের মাদকের খুচরা ও পাইকারী বিক্রিতে শীর্ষে আছে রিপন, মনির।
মনিরের স্ত্রী রুবিও মাদক ব্যবসায় জড়িত। বর্তমানে প্রশাসন তেমন তৎপর না থাকায় রিপন ও মনির নামে দুই মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যে যার মতো করে মাদক ব্যবসা করেই যাচ্ছে। ফলে গোলাকান্দাইল এলাকায় গাঁজা বা ইয়াবা এখন অনেকটা ভাত-মাছের মতো সহজলভ্য হয়ে গেছে।এই মাদক হাতের নাগালে পাওয়ায় মাদক সেবনে যুবকদের পাশাপাশি ঝুঁকছে তরুণসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
এলাকাবাসীরা জানান, এক সময় গোপনে মাদক ব্যবসা চলতো। আর এখন গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়ায় রিপন ও মনিরের বাড়িতে মাদকের হাট বসিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক গৃহবধূ বলেন, মনির ও রিপনের বাড়িতে দিন-রাত মাদকসেবীদের আনাগোনা থাকায়।
সব সময় চিন্তা হয় ছেলে- মেয়ে মানুষ করবো কি করে? আগে স্কুলে পাঠিয়ে একটু নিশ্চিন্তায় থাকতাম। এখন তো স্কুলও বন্ধ। তাই সারাদিন তাদের পিছনে লেগে থাকি। যাতে তারা মাদকের কবলে না পড়ে।