সিএনএম প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৬ মাসের এক শিশু অপহরণের ৫ ঘণ্টার মাথায় নড়িয়া উপজেলা সিরঙ্গল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার রাতে পৌরসভা এলাকার ধানুকার কলেজরোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাতেই নড়িয়া থানার পুলিশ উদ্ধারকৃত শিশু ও অপহরণকারীকে পালং মডেল থানায় সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আটক অপহরণকারী হলো: তৃতীয় লিঙ্গের তানিয়া সিকদার (২২)। তার বাড়ি শরীয়তপুর পৌরসভার স্বর্ণঘোষ এলাকায়। তিনি শরীয়তপুর শহরের ধানুকা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিল্লাল বেপারীর বাসার পাশে ভাড়া থাকে।
পালং মডেল থানার এসআই নোমান মিয়া জানান, তৃতীয় লিঙ্গের তানিয়া সিকদার বিল্লাল বেপারীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে তোলে। তারা একে অপরের বাসায় যাতায়াত করতেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বিল্লাল বেপারী স্ত্রী নাছিমা বেগম ৬ মাসের শিশু মাহমুদ হাসানকে ঘরে একা রেখে রান্না করছিলেন। এসময় তানিয়া ওই শিশুকে চুরি করে পালিয়ে যায়।
রান্না শেষ করে ঘরে এসে দেখেন শিশু মাহমুদা নেই। পাশে থাকা এসময় তানিয়াকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা শিশুর পরিবার পালং মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তৃতীয় লিঙ্গের তানিয়া শিশুটি নিয়ে গেছে। পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাত ১টায় নড়িয়া উপজেলার সিরঙ্গল এলাকা থেকে শিশুসহ অপহরণকারী তানিয়াকে গ্রেফতার করে।
ওই রাতেই নড়িয়া থানা পুলিশ পালং মডেল থানার পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। পালং মডেল থানার পুলিশ শনিবার সকালে শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের অপহরণকারী তানিয়া শিকদারকে জেলাহাজতে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বিল্লাল বেপারী বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে শিশুর বাবা বিল্লাল বেপারী বলেন, আমার ৬ মাসের শিশুটিকে তানিয়া অপহরণ করে নিয়ে যায়। ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হই। পরে পুলিশ নড়িয়া থানা এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে। আমি মামলা করেছি। এ ঘটনার উপযুক্ত শাস্তি চাই।
পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শিশুটিকে পরিবারের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আসামিকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।