সিএনএম প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছেন মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে গণপরিবহন চালু রাখা সম্ভব নয়।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে রংপুর নগরীর দক্ষিণ গুপ্তপাড়ায় জেলা মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মসিউর রহমান রাঙ্গা এ কথা বলেন।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা গণপরিবহন চালানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু বিধিনিষেধ মেনে গাড়ি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে এটা অসম্ভব। সকালে ও বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন অসম্ভব দাঁড়িয়েছে। সকালে বেশিরভাগ মানুষ অফিসে যান। এ সময় সবাই তাড়াহুড়ো করে গাড়িতে উঠতে চায়।
মসিউর রহমান বলেন, একটা গাড়িতে একজন ড্রাইভার, একজন হেলপার ও টিকিট কালেক্টর থাকেন। তারা তো একাই এতো যাত্রীদের সামাল দিতে পারেন না। এই সমস্যা শুধু বাসে নয়, সবখানেই একই অবস্থা। অনক সময় যাত্রীরা ধাক্কা দিয়ে গাড়ি উঠে যায়।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলেছি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বিআরটিএ, পুলিশ, বিজিবি, আনসারের লোকজন দিয়ে মনিটরিং করতে। আমরা তো যাত্রীদের গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দিতে পারি না, যাত্রীরা আমাদের লক্ষ্মী। তবে আমরা শ্রমিকদের বলেছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোর জন্য।
তিনি আরও বলেন, করোনায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। লকডাউনে ৮৭ দিন গাড়ি বন্ধ ছিল। এই বন্ধের সময়ে যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। আমরা গাড়ি না চালালে সরকারকে রাজস্ব দিতে পারব না। এজন্য সরকারের কাছে রাজস্ব মওকুফের আবেদন জানিয়েছি। সরকার থেকে আমাদের প্রণোদনা দেওয়ার কথা। টাকা হাতে পেলে প্রত্যেক জেলায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মসিউর রহমান বলেন, করোনার কারণে মালিক-শ্রমিক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার সবাইকে প্রণোদনা দিচ্ছেন। এ কারণে আমরাও প্রণোদনা চেয়েছি। সারাদেশে প্রায় ১২ লাখ গাড়ি রয়েছে। আমরা সরকারের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছি।
সমিতির সাবেক সভাপতি আবু আজগর পিন্টু, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এ কে এম মোজাম্মেল হকসহ পরিবহন মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।