সিএনএম ডেস্কঃ
কর্মব্যস্ততার যুগে দৈনন্দিন অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার কারণে বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ডায়াবেটিসও এমনই একটি রোগ, যার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং খাদ্যের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা। এই কারণেই ব্লাড সুগার রোগীদের খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা কিছু চেনা খাবারই কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা চড়চড় করে বাড়াতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এখনই বন্ধ করুন এই খাবারগুলো। চলুন খাবারগুলো সম্পর্কে জানা যাক…
## সব ধরনের প্যাকেটজাত খাবার, বিশেষত যে খাবারগুলো নোনতা নয়, সেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এগুলো রিফাইন্ড ময়দা দিয়ে তৈরি হয় এবং দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তাই এই সব স্ন্যাকস সুগার রোগীদের এড়িয়ে চলাই ভালো। স্ন্যাকস খেতে ইচ্ছে হলে এক মুঠো বাদাম খেতে পারেন।
## ফলের মধ্যে এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। বিশেষ করে, শুকনো ফলে সবচেয়ে বেশি চিনি থাকে। উদাহরণস্বরুপ, শুকনো কিশমিশে ১১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা ফ্রেশ আঙুরের চেয়েও অনেক বেশি। তাই শুকনো ফল খেতে খুব ইচ্ছে হলে কম চিনিযুক্ত ফল বেছে নেওয়াই ভালো।
## অ্যালকোহল-যুক্ত পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি এবং কার্বস থাকে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের বিয়ার, ওয়াইন এবং অন্যান্য অ্যালকোহল-যুক্ত পানীয় না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
## পরিমিত পরিমাণে ফল গ্রহণ ডায়াবেটিসের জন্য খুবই ভালো, তবে ফলের রস বেশি খাওয়া উচিত নয়। শুকনো ফলের মতো ফলের রসেও প্রচুর চিনি থাকে, যা দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। যদিও ফলের রস ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর, কিন্তু উচ্চ পরিমাণ চিনি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
## ফ্রায়েড ফুড স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক তা আমরা সকলেই জানি। এই সব খাবারে ক্যালোরি খুব বেশি থাকে। তাছাড়া ফ্রায়েড ফুড রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় দ্রুত। এতে থাকা ফ্যাট হজম হতে অনেক সময় নেয়, যে কারণে ব্লাড সুগার লেভেল উচ্চ থাকে। তবে কেবল ফ্যাট নয়, ভাজা খাবার ট্রান্স ফ্যাটে পরিপূর্ণ, যা অন্যান্য রোগও সৃষ্টি করে।
## রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, যেমন, ময়দা, সাদা পাউরুটি এবং এগুলো থেকে তৈরি খাদ্যগুলো একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এই খাবারগুলোতে ফাইবারও কম থাকে, আর ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়ায়।