ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে মারপিট করে চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই চেয়ারম্যান।
গতকাল বুধবার বিকেলে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ বলেন, গত রোববার (১২ জুন) রাত ১০টায় স্থানীয় ফারুক ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তারা জানায় চেয়ারম্যান আমাকে ডাকছে। আমার নামে নাকি বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। পরে তারা আমাকে একজনের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে হিমু চেয়ারম্যানসহ তার কয়েকজন ছেলে আমাকে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যান আমার মাথার চুল কেটে দেয়। এছাড়া চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে। এ ঘটনা যদি কাউকে বলি তাহলে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর থেকে ৩ দিন তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসায় আটকে রাখে।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, কোনো অপরাধ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে চেয়ারম্যানসহ তার ছেলেরা মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না। এই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীকে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। কি কারণে তারা আমার স্ত্রীকে মারপিট করল তা জানি না। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বন্ধ পাওয়া গেছে তার ফোনটিও।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সেই চেয়ারম্যানের বাসায় আমাদের পুলিশ গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।