মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.) সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে মিরপুর সড়কে শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নীলক্ষেত মোড় থেকে শুরু হয়ে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সামনে থেকে ঘুরে পুনরায় নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও হযরত আয়েশা (রা.) সম্পর্কে নুপুর শর্মা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদে আমাদের এই বিক্ষোভ মিছিল। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই শ্রদ্ধা করেন। তার সম্পর্কে এমন বিতর্কিত মন্তব্যে পুরো মুসলিম বিশ্ব ব্যথিত হয়েছে। ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘লিল্লাহি তাকবির, আল্লাহু আকবার’ ‘বিশ্বনবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘তোমার নেতা আমার নেতা বিশ্বনবী মোস্তফা’ ‘ভারতীয় পণ্য, বয়কট বয়কট’ সহ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
রাফিদ ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুল এবং কলেজ দুটি সেকশনের শিক্ষার্থীরাই আমরা এখানে আছি। আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে যে কটূক্তি করা হয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। একজন মানুষ তিনি যতই ক্ষমতাবান হোক তিনি আমাদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিতে পারেন না। রাষ্ট্রীয়ভাবে ভারত সরকারের কাছে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর দাবি জানাচ্ছি।
তোফায়েল আহমেদ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, সারাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মহানবী (সা)-কে কটূক্তির প্রতিবাদে মিছিল করেছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক মুখপাত্র নুপুর শর্মা একটি টেলিভিশন শোতে অংশ নিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। পরে দলটির নয়াদিল্লির গণমাধ্যম শাখার প্রধান নবীন জিন্দালও নুপুর শর্মার মন্তব্যকে সমর্থন করে টুইট করেন। এ মন্তব্যের জেরেই মুসলিম বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ ও তোপের মুখে পড়েছে দেশটি। বাংলাদেশেও গত কয়েকদিনে এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছোট-বড় বিভিন্ন ইসলামিক দল ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।