রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে চাঁদাবাজি করার দায়ে ১০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের কাছ থেকে নগদ ৮৫ হাজার ৩৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় আছে কি না তা জানায়নি র্যাব।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে যে, রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ সবজির দোকান এবং ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছেন।
কেউ চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা জীবননাশের হুমকি দেন। তাদের অত্যাচারে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানদারদের জীবন অতিষ্ঠ বলে তথ্য পাওয়া যায়। এ সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা হলেন, আবু নাছের খালিদ, মো. কামরুল হোসেন, মো. জাকারিয়া ইসলাম, মো. সিদ্দিক, মো. রেজাউল করিম পাভেল, মো. জিয়াউল ইসলাম, মো. মোকবুল হোসেন বাবু, বাবুল, মো. খোকন ও মো. জাকির হোসেন।
বীণা রানী দাস বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তাদের অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের কথাও স্বীকার করেছেন।
খিলগাঁও থানার বনশ্রী ও মেরাদিয়ার কাজি বাড়ি ও ৫, ৬ ও ৭ নম্বর রোডে তারা নিয়মিত চাঁদাবাজি এবং কবুতর পট্টিসহ কাঁচাবাজারে প্রতি বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিরীহ দোকানদারদের কাছ থেকে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করতেন।
চক্রের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পেয়ে থাকেন। যদি কোনো দোকানদার চাঁদা দিতে না চান, তাহলে তারা তাকে দোকান উঠিয়ে দেওয়াসহ জীবননাশের হুমকি দেন। এ সব চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের পুলিশে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা