সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

প্রবাসীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ১.২৭ পিএম
  • ১১৮ বার পড়া হয়েছে
সাকিব হোসেইনঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানার শ্রীকাইল ইউনিয়নের পিপড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ চাঁন মিয়ার ছেলে বেলজিয়াম প্রবাসী আমজাদ হোসেন ওরফে তসু মিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ তুলেছেন তারই বন্ধু বেলজিয়াম প্রবাসী ভুক্তভোগী ফরিদ আহম্মেদ সরকার। ভুক্তভোগী মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের আলীরচর গ্রামের মরহুম ছায়েদ আলী সরকারের ছেলে।
অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী প্রবাসী ফরিদ আহম্মেদ সরকার সাংবাদিকদের বলেন, আমজাদ হোসেন তসু আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু। ২০১৪ সালে তসু মিয়া আমার কাছ থেকে দোকানের জন্য ১২লাখ টাকা ধার নেয়, দু’বছর পর দুই লাখ টাকা ফেরত দেন তখন তার সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে লেনদেন চলমান ছিল তাই আমি পাওনা টাকার জন্য চাপ দেয়নি। তসুর দোকানে পূর্বে ব্যাংক থাকার সুবাদে সেখানে কিছু লকার ছিল। তাই আমি তসুর ব্যক্তিগত লকারে আমানত হিসেবে বেলজিয়ামের অনেক প্রবাসীর টাকা ও আমার ব্যক্তিগত সঞ্চিত অর্থ জমা রাখতাম। লকারে প্রায় সব মিলিয়ে ৪৫হাজার ইউরো ছিলো। এছাড়াও তসু আমার থেকে ধার হিসেবে তার ভাই নসিব আলী ওরফে কাসু মিয়ার আল আরাফাহ ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ২০১৮ সালে ৪,০০১১৫ চার লাখ একশো পনেরো টাকা নেয়। সর্বমোট তসুর কাছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা বর্তমানে আমি পাই। তসুর সাথে বেলিজিয়ামের এক মসজিদ কমিটিতে সমর্থন এর বিষয় নিয়ে আমার মনমালিন্য হলে সে বিভিন্ন ভাবে নানা জামেলা করতে থাকে। এক পর্যায় কিছুদিন পর আমি তার নিকট আমার পাওনা ও তার লকারে হেফাজতে রাখা অর্থ ফেরত চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন ও আমাকে নানা বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মামলা দিয়ে হয়রানী করতে শুরু করেন। আমি তার বন্ধু, আত্মীয় স্বজনসহ মুরাদনগর এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জননেতা কায়কোবাদ দাদার ভাই আরিফিন এবং শ্রীকাইল এলাকার জর্জ মিয়া ভাই কে বিষয়টি জানালে এতে তসুর ক্ষিপ্ততা আরো বেড়ে যায়। পরবর্তীতে টাকা চাইতে তসুর বাসায় গেলে সে আমাকে বলে আমি কেন তাদের কে বিষয়টি জানালাম? এতে তার সম্মানহানী হয়েছে। তাই আমি যেনো এ দু’জনকে সাথে নিয়ে টাকা চাইতে যাই। ফরিদ সরকার আরোও বলেন, তসু এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে এসকল অপরাধ কর্মকান্ড করে পার পাওয়ার পায়ঁতারা করছে। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে প্রতারক তসুর নিকট থেকে আমার পাওনা টাকা উদ্ধারে সহযোগিতা চাই এবং আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার সুষ্ঠু বিচার চাই।
 অভিযুক্ত বেলজিয়াম প্রবাসী আমজাদ হোসেন তসু মিয়া নিজেকে নির্দোশ দাবি করে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদ সরকার আমার কোন দিনই বন্ধু ছিল না। বেলজিয়ামের মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করেছে ফরিদ ও তার গ্যাংরা। আমি তার বিরোধিতা করায় তার সাথে আমার বিবাদ চলতে থাকে। আমার নামে মিথ্যা মামলাও দিয়েছে কয়েকটা। সে সব সময় আমার প্রতিপক্ষই ছিল। আমার কাছে সে কোন টাকা পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। এসকল অভিযোগ মিথ্যা!

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com