মোঃ আলমগীর (সেলিম)
সূত্রে জানা যায়, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেল্থ ফাউন্ডেশন এর মানবাধিকারকর্মীরা ডিএমপি পুলিশ কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, অনুসন্ধানকর্মীরা মাঠ পর্যায়ে অপরাধ অনুসন্ধান কালে মিরপুর শেওড়াপাড়ার ৯৭০নং হোল্ডিং এ অবস্থিত রাজধানী আবাসিক হোটেল এর সম্মুখে মানবাধিকার কর্মীরা পৌঁছানো মাত্র গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে রাজধানী হোটেলের অর্ন্তরালে হোটেল ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় সরকারি অনুমতি ছাড়া হোটেল ভবনটিকে হোল্ডিং মালিকের সহায়তায় উক্ত ভবন পতিতালয় স্থাপন করিয়া সেখানে বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে নানা ফন্দি ফিকির করিয়া মেয়েদের সংগ্রহ করে হোটেলে এনে রুমে রুমে আটক করে ঐ সকল মেয়েদের প্রথমে হোটেল ভাড়াটিয়া মালিক আপন মোবাইল: ০১৭১৬-৯৮৩৮৮১, আরিফ, মোবাইল : ০১৭১২-৬৭৪৪১৩, রাহাত, মোবাইল : ০১৯৩৩-৭৬০৪৪৬, ডিপজল, মোবাইল : ০১৯৪৩-১৫৫২২৭, সফিক, সহ অজ্ঞাতনামা বহুলোকে মিলে একের পর এক সেখানে আটক মেয়েদের গণধর্ষণ করে পরবর্তীতে বহিরাগত বিভিন্ন পুরুষ লোকজন দ্বারা আটক থাকা মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক নানাভাবে ঐ সকল মেয়েদের গণধর্ষণ করানো হয়। এক পর্যায়ে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে রেখে আটক মেয়েদের দেখানো হয় যদি তারা হোটেল মালিক ও ভাড়াটিয়া মালিক আপনগংদের কথামতো উঠ বস না করে এবং এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে তাহলে খারাপ কাজের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে সমাজে পরিবার ও তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করা হবে মর্মে সেখানে বিভিন্ন মেয়েদের আটক করে এসকল অপকর্ম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এক পর্যায় উক্ত রাজধানী আবাসিক হোটেলে মানবাধিকার কর্মীরা রুম ভাড়া নেওয়ার অজুহাতে হোটেলে প্রবেশ করে ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় গিয়ে সেখানে প্রায় ১০-১৫ জন মেয়েকে দেখতে পায় যাদের নাম : ১। ঈশা ২। আয়শা ৩। রুমা ৪। ঝুমা ৫। পুতুল ৬। কণা ৭। সাথী ৮। প্রিয়া ৯। বর্ষা ১০। রোজি ১১। সনিয়া ১২। মাধবী সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জন মেয়েকে এবং বহু পুরুষ খদ্দের ও সেখানে উপস্থিত দেখতে পায় উপস্থিত খদ্দেররা মেয়েদের পছন্দ করে রুমগুলো তে নিয়ে গিয়ে তাদের সর্বনাশ করছে। এরি মধ্যে বিভিন্ন কৌশলে সেখানে আটক থাকা মেয়েদের সাথে কৌশলে মানবাধিকার কর্মীরা কথা বলে তাদের কাছ থেকে প্রাথমিক ভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন। আটক মেয়েদের মধ্যে
১। ঈশা, বয়স-২৭, পিতা- আবুল কাসেম, মাতা-বিবি রহিমা, সাং-ফকিরাঘুনা, বড়াইছড়ি, থানা-কাপ্তাই, জেলা-রাঙামাটি।
২। মোসাঃ আয়শা, বয়স-২১, পিতা-রফিকুল ইসলাম, স্বামী-মোঃ শামীম, সাং-অজ্ঞাত, থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সীগঞ্জ
৩। মাধবী, দের কাছে জানতে পারি তাদেরকে কাজ দেওয়ার কথা বলে উক্ত হোটেলে এনে আটক করে বিভিন্ন পুরুষ দ্বারা একের পর এক তাদের ধর্ষণ করাচ্ছে। কোন পুরুষের যৌন মেলামেশা করতে না চাইলে তাদেরকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং তাদেরকে দিয়ে করানো যৌন মেলামেশার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে রেখেছে আপন ও সফিকগং। এছাড়া আয়শার আড়াই বছর বয়স্ক কন্যা সন্তান যার নাম জান্নাত। ঐ জান্নাতকে উক্ত চক্রের দালাল কবির, রঞ্জু, মাসুম, রিমা, জামালগণরা তার বাচ্চাকে তাদের জিম্মায় আটক রাখিয়া আয়শাকে উক্ত হোটেল নামক পতিতালয়ে আনিয়া একের পর এক পুরুষের সাথে যৌন মেলা মেশা করতে হচ্ছে। আর যদি আয়শা এ কাজ করতে না চায় তাহলে উক্ত আপনগংদের ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিলে তার বাচ্চা নিয়ে চলে যেতে পারবে। নয়ত দালালদের কথা মতো যেখানে যেভাবে চলতে বলে সেভাবে চলতে হবে। একই কায়দায় ঈশা, মাধবী সহ অন্যান্য মেয়েদেরকে ও গার্মেন্টেসে কাজ দেওয়া কথা বলে সেখানে আটক করে উক্ত যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করছে। এক পর্যায় মানবাধিকার কর্মীরা গাফরুল থানা পুলিশকে জানানোর জন্য গত ২৭/১২/২০২৪ইং তারিখ ৪টা ৫৩ মিনিটের সময় আমার ব্যবহৃত মোবাইল নং ০১৮৬৫-৮১০১৫৪ নাম্বার হতে ৯৯৯ এ ফোন করে রাজধানী আবাসিক হোটেলে চলা অপকর্ম বন্ধ ও সেখানে আটক মেয়েদের উদ্ধারের জন্য স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তা কামনা করে ডিএমপির কাফরুল থানা পুলিশের সহায়তা চায় ৯৯৯ এ কমপ্লিন নাম্বার ঈঋঝ, ৫৪৬২৮৫৬১
৯৯৯ কে মানবাধিকার কর্মীরা ঘটনা খুলে বলে। ৯৯৯ এ ফোন রিসিভ কারী কর্তৃপক্ষ কাফরুল থানাকে কল কনফারেন্সের মাধ্যমে থানার অজ্ঞাতনামা ডিউটি অফিসারের সাথে তাদের কথা বলায় ঘটনার সবকিছু ডিউটি অফিসার শোনার পর তিনি ঘটনা তদন্ত করার জন্য এসআই আশরাফকে দায়িত্ব দেন। আশ্রাফ দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনা স্থলে না আসায় ৯৯৯ হতে একাধিক বার ফোন করে জানতে চায় এসআই আশরাফ ঘটনাস্থলে আসছে কি না? এবং ৯৯৯ এর একাধিকবার চেষ্টার পর প্রায় ৩ ঘন্টা পর ঘটনাস্থল ৯৭০ রাজধানী আবাসিক হোটেলের সম্মুখে এসে এসআই আশরাফের ফোর্স সহ তার সাথে থাকা মোবাইল ক্যামেরায় হোটেলের নিচে দাড়িয়ে তাদের ছবি তুলে হোটেলের রুমে আটক থাকা মেয়েদের উদ্ধার না করে আপনগংদের কাছে মেয়েদের রেখেই চলে যায়। এদিকে অভিযোগকারী মানবাধিকার কর্মী এসআই আশরাফকে আটক মেয়েদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যেতে বললে এসআই আশরাফ অভিযোগকারীদের বলে আপনারা বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেননা এ হোটেলের অর্ন্তরালে পতিতালয়ের বিষয়ে কাফরুল থানার ওসি, সহকারী পুলিশ কমিশনার অবগত আছে। আপনারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করেন তাহলে উল্টো আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বলে আশরাফ ও তার ফোর্স সহ চলে যায়। এরপর হোটেল ভাড়াটিয়া মালিক পাচারকারী দালাল আপনগংরা মানবাধিকারকর্মীদের হুমকির সুরে বলে এই হোটেলে চলা অপকর্মের বিষয় থানা পুলিশকে না জানিয়ে আমরা এ ব্যবসা করি না। অত্র হোটেলের ইনকামের সিংহ ভাগ কাফরুল থানার ওসি সহ পুলিশের অনেকেই ভাগ পান। আপন নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বলে যে আমরা বর্তমানে একটু সমস্যার মধ্যে আছি এ হোটেলের লভ্যাংশের টাকা দিয়ে বর্তমানে আওয়ামী দলীয় ভাই ব্রাদাররা চলে এখানে যা কিছুই হোক এদিকে চোখ দিয়েন না তাহলে কাফরুল থানার ওসি, ওসি তদন্ত, ওসি অপারেশন স্যারদের নির্দেশ, এ হোটেল নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে তাকেই বিপদে পড়তে হবে। রাজধানী হোটেলে এখনও পর্যন্ত একাধিক মেয়ে আটক রহিয়াছে তাদের জিম্মি করে সেখানে করানো হচ্ছে দেহ ব্যবসা। ফোন রিসিভ না করায় কাফরুল থানার ওসির বক্তব্য পাওয়া যায় নি।