ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযান অবসানে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ ও মস্কো। এমনকি রুশ সেনাদের সরানো হলে মস্কোর বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছিল যুক্তরাজ্য।
তবে যুদ্ধ শেষ না হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কোনো কথা হবে না বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে ‘কোনো কথা’ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রশ্নও তোলা যাবে না। আমাদের যা আছে যতক্ষণ না আমরা সেগুলো ফিরে পাচ্ছি, ততক্ষণ এ বিষয়ে কথা হতে পারে না।’
অবশ্য যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়া আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি আলোচনায় বসেন। পরে রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারি ভ্লাদিমির মেডনিস্কি বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের রুশ দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আলোচনা গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার রাতে দেওয়া ওই বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, শান্তি আলোচনার প্রাথমিক ফলাফল ‘ইতিবাচক’ বলে মনে হলেও, রুশ হামলার হুমকি এখনও রয়ে গেছে। আর তাই তার দেশ কেবলমাত্র আলোচনার সুনির্দিষ্ট ফলাফলের ওপরই আস্থা রাখতে পারে বলে জানান তিনি।
ভলোদিমির জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখোমুখি থাকা অবস্থায় ইউক্রেন নিজের ‘প্রতিরক্ষামূলক প্রচেষ্টা’ হ্রাস করবে না। কারণ রুশ সেনাদের আরও আক্রমণ চালানোর উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। তার ভাষায়, ‘পরিস্থিতি এখনও সহজ হয়ে ওঠেনি।’
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ করেন এবং ‘আর কোনো আগ্রাসন না চালানোর’ প্রতিশ্রুতি দেন, তাহলে রুশ অলিগার্ক, ব্যাংক এবং ব্যবসার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে।
ব্রিটেনের সানডে টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রকে সেসময় তিনি আরও বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট (ইউক্রেনে) আবারও আক্রমণ করলে ‘নিষেধাজ্ঞার’ হুমকি বহাল থাকবে।