রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ছুরিকাঘাতে দন্ত চিকিৎসক ডা. আহমেদ মাহী বুলবুল নিহত হয়েছেন। ছিনতাইকারীদের হাতে তার মৃত্যু হয়েছে নাকি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন। তবে বন্ধু ও প্রতিবেশীরা বলছেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে নিহত বুলবুলের বন্ধু ডা. সজীব বলেন, আমরা লেখাপড়া করার সময় দীর্ঘদিন একই রুমে ছিলাম। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা নয়। তার পায়ে শুধু একটি ছুরির আঘাত আছে। আমরা শুনতে পেলাম ঠিকাদারি বিষয় নিয়ে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে তিনি কি ঠিকাদারি করতে চেয়েছিলেন বা করছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না।
নিহত বুলবুলের প্রতিবেশী মোস্তফা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতেও আমার সঙ্গে বুলবুলের দেখা হয়েছে। অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। যদি ছিনতাইয়ের ঘটনা হতো তাহলে তার কাছে থাকা মোবাইল, আংটি, টাকা সবকিছুই নিয়ে যেত। শুধু বড় মোবাইলটা তার কাছে নেই। তার ডান পায়ে একটি ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে বুলবুল ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত বুলবুলের মরদেহ বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহতাব উদ্দিন বলেন, ভোর ৫টার পর অজ্ঞাত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে বুলবুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ডিসি আরও বলেন, এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা হতে পারে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি এবং কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
ডা. বুলবুল মগবাজারে রংপুর ডেন্টাল নামে একটি চেম্বার খুলে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। সেখানে তিনি দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন। শুধু স্বাবলম্বীদের কাছ থেকে ফি নিতেন।