পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া বেড়েছে। আফসোস, মুসলিম দেশগুলো পরিস্থিতি উন্নতির কোনো চেষ্টা করেনি। সারা বিশ্বের সামনে মুসলমানদের একটি ভুল ভাবমূর্তি তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইসলামাবাদে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে ইমরান খান বলেন, আমি একজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে সারা বিশ্ব দেখেছি। আমি বুঝতে পারছি ৯/১১ ঘটনার পর মানুষের মধ্যে ইসলামফোবিয়া বেড়েছে।
তিনি বলেন, এ কথা বলতে আমার খারাপ লাগছে, কিন্তু আমরা মুসলিম দেশগুলো তা দূর করার কোনো অর্থবহ প্রচেষ্টা করিনি। কীভাবে একটি ধর্মকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত করা যায়? কীভাবে এই পৃথিবীতে দুই ধরনের মুসলমান থাকতে পারে? কীভাবে? একজন উদারপন্থী মুসলমান এবং একজন কট্টর মুসলমানকে কিভাবে আলাদা করা হচ্ছে?
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ঘটনা উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, একজন ব্যক্তি মসজিদে এসে সবাইকে গুলি করল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক, আমাদের সকল মুসলিম জাতিকে এ বিষয়ে ভাবতে হবে। এই বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
ইমরান খান এমন এক সময়ে এইসব বক্তব্য দিলেন যখন তাকে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ইমরান খানের আমলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ৪৮তম অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন সম্মেলন শুরু হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ঐক্য, ন্যায় ও উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমের মতে, এবার ১০০টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এটা দুই দিনের কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কাশ্মির ও আফগানিস্তানের ইস্যুও তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।