বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কারো পাওয়ার গেমের হাতিয়ার হতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি শাহ আলম। রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহ আলম বলেন, আমাদের লড়াই সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদী সমাজের বিপক্ষে। সাম্রাজ্যবাদের দোসর যারা এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে আছে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা কারো পাওয়ার গেমের হাতিয়ার হতে চাই না।
তিনি বলেন, আমরা কাউকে ক্ষমতায় রাখতে চাই না৷ আমরা কারো ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হব না। আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে বিকল্প হতে চাই। আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই।
বামজোটের ডাকা আধাবেলা হরতালে বিএনপির সমর্থন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৮ মার্চ হরতালে বিএনপির সমর্থন তো আমরা চাইনি। বিএনপির রাজনীতি বিএনপি করুক। তার কোমরে জোর থাকলে সে আলাদা করুক। হরতালে সমর্থন দিয়েছে, কিন্তু বিএনপি কি মুক্তবাজারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? রেশনশপ চালু এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য সরকারিকরণের পক্ষে থাকবে?
সংবাদ সম্মেলনে সিপিবি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আমলা ও ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আমলা ও ব্যবসায়ীদের একটি সার্কেল। এ বিশাল সার্কেল ভাঙতে না পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রুদ্ধ করা হয়েছে জানিয়ে কমরেড শাহ আলম বলেন, লুটেরাদের স্বার্থ হাসিলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এখন চাইলেও সাংবাদিকরা সব কিছু প্রকাশ করতে পারেন না। আমরা যা বলছি তাও আপনারা প্রকাশ করতে পারেন না।
তিনি বলেন, দেশ এখন দুইভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে ৯৫ ভাগ একপাশে আর ৫ ভাগ অন্য পাশে। ৯৫ ভাগের অর্থনীতি এক, ৫ ভাগের অর্থনীতি আরেক। ওই ৫ ভাগ পার্লামেন্ট দখল করে রেখেছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সিপিবির সভাপতি কানাই লাল দাশ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি আশোক সাহা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ।