1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কে এই সফিক? উত্তরায় খুলেছে নারী বিক্রির হাট কে এই সফিক? উত্তরা খুলেছে নারী বিক্রির হাট। দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, ভারতে পাঁচার হচ্ছে অল্প বয়সি নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ, লুটপাট বন্ধ করার জন্য অভিযোগ জমা পরেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেফতার ইবতেদায়ী নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি সভা ঈমান …….. মোঃ মনির হোসেন  পুলিশের নাকের ডগায় গার্ডেন ভিউ ও বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ডের অর্ন্তরালে মানব পাঁচার ও নানাবিধ অপরাধ কর্ম

ঘুষ লেনদেনে চার্জশিটভুক্ত আসামিও চাকরিতে বহাল

  • আপডেট সময় শনিবার, ১২ মার্চ, ২০২২, ১১.৪৯ এএম
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

২০১৮ সালের ১০ জুলাই ১৪ হাজার টাকা ঘুষসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে আটক হন পাবনার আটঘরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান। একই সময়ে তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে মোহরার পদে কর্মরত আশরাফুল আলমের ব্যবহৃত ড্রয়ার থেকে নগদ আরও ৮০ হাজার ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ নিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলা হয়। দেওয়া হয়েছে চার্জশিটও। ইতোমধ্যে বিচারও শুরু হয়েছে। পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়াও শেষ হয়েছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে জামিন নিয়ে বের হয়ে ইশরাত জাহান সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে পাবনার বেড়া উপজেলায় বহাল তবিয়তে অফিস করছেন। যদিও একই অপরাধে তার সহযোগী মোহরার মো. আশরাফুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু ইশরাত জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।

সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেলে, আদালত থেকে জামিন নিলে কিংবা চার্জশিটভুক্ত আসামি হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে দুদক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বার বার চিঠি দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান বহাল তবিয়তে কেবল অফিসই করছেন না, তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কিংবা সাক্ষীদের বিভিন্ন কৌশলে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ইফতাখারুজ্জামান  বলেন, সাধারণত আদালতে বিচারকার্য শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকে চাকরিচ্যুত করা যায় না। তবে চাকরিবিধি কিংবা নৈতিক অবস্থান থেকে অন্তত সাময়িক বরখাস্ত করা উচিত বলে আমি মনে করি।

অন্যদিকে পাবনায় দুদকের পক্ষের আইনজীবী এম এ রহিম খান  বলেন, দুদকের আইনজীবী হিসেবে চার্জশিটভুক্ত আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমার। আসামি হওয়া সত্ত্বেও স্বপদে বহাল কেন রেখেছে, সে বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এটা দুদকের বিষয়। তবে আইন অনুযায়ী চার্জশিটভুক্ত আসামিকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা। কোনো কোনো মামলায় করা হচ্ছে না, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কেন করছে না সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমার বিষয়ও নয়।

এক অভিযোগকারীর সহায়তায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই ১৪ হাজার টাকা ঘুষসহ দুদকের হাতে আটক হয়েছিলেন পাবনার আটঘরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান। একই সময়ে তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে মোহরার আশরাফুল আলমের ব্যবহৃত ড্রয়ার থেকে আরও নগদ ৮০ হাজার ৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘুষ আদায় সংক্রান্ত তালিকা অনুযায়ী, উদ্ধার করা টাকার মধ্যে এন ফিস ৩১ হাজার ৮৫৬ টাকা এবং অবশিষ্ট ৪৮ হাজার ১৯৬ টাকা ঘুষের টাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। জব্দ করা তালিকা পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই ৬৮ হাজার ৫৯০ টাকা, ৯ জুলাই ৬১ হাজার ৯৫০ টাকা এবং ১০ জুলাই ৪৭ হাজার ৩০০ টাকাসহ তিন দিনে ঘুষ হিসেবে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০ টাকা আদায় করা হয়েছে।

ওই দিনই তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় এবং সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুদকের বর্তমান উপ-পরিচালক (সাবেক সহকারী পরিচালক) শেখ গোলাম মাওলা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে ফাঁদ পেতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে পাবনার সিনিয়র স্পেশাল আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামির বিষয়ে ওই বছরের ১৫ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অবহিত করা হয়। যার অনুলিপি আইন ও বিচার বিভাগ, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইনস্পেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশন ও নিবন্ধন পরিদপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সাব-রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান ও মোহরার মো. আশরাফুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদক সচিবের স্বাক্ষরে চিঠি দেওয়া হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও দুই দফায় চার্জশিটভুক্ত আসামিকে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করে চিঠি দেওয়া হয়।

তারপরও তিনি স্বপদে বহাল থেকে চাকরি করে যাচ্ছেন। মোহরার মো. আশরাফুল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও ইশরাত জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।

ইশরাত জাহান ও মো. আশরাফুল আলম— উভয় আসামির স্থায়ী ঠিকানা পাবনা। ইশরাত জাহান সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে পাবনার বেড়া উপজেলায় বহাল তবিয়তে অফিস করছেন। আসামিরা স্থানীয় হওয়ায় এবং সাব-রেজিস্ট্রারের নিজ পোস্টিং পাবনা থাকায় সাক্ষীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে মামলার ফলাফল প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে আইন ও বিচার বিভাগ এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইশরাত জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত না করায় তিনি দুর্নীতি করতে প্রশ্রয় পেয়েছেন। দুদক এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট গৃহীত হওয়ার পরও একজন বহাল তবিয়তে অফিস করছেন এবং নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন, যা শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি ১৯৮৫ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দুদক ওই মামলায় চার্জশিট দাখিলের পর পাবনার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে বিচার শুরু হয়েছে। বর্তমানে স্পেশাল জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন দুদকের পিপি এম এ রহিম খান। ইতোমধ্যে মামলার ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। যাদের মধ্যে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. গোলাম মোস্তফা অভিযোগকারী হিসেবে, হারুন অর রশিদ ও মো. শহীদুল ইসলাম নিরপেক্ষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ২১ মার্চ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সার্ভিস রুল (বিএসআর) পার্ট-১ এর ৭৩নং বিধির নোট-২ অনুসারে ফৌজদারী অভিযোগে বা দেনার দায়ে আটক সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার হওয়ার তারিখ থেকে সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হবেন এবং বিচার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত খোরপোষ ভাতা পাবেন।

অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়ের সংস্থাপন বিভাগের ১৯৭৮ সালের ২১ নভেম্বর আদেশ অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী গ্রেপ্তারের পর বা আত্মসমর্পণের পর জামিনে মুক্তি লাভ করলেও সাময়িক বরখাস্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে এ ক্ষেত্রে জটিলতা এড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করার বিধানও রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com