যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা ও ইউক্রেনের পক্ষে জনমত গড়ার অংশ হিসেবেই এই ভাষণ দেবেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রিটেনের আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দেবেন জেলেনস্কি। বক্তব্য প্রদানের জন্য এই সময় বেছে নেওয়ার কারণ— নিয়ম অনুযায়ী, হাউস অব কমন্সের নিয়মিত পার্লামেন্টারি কাজের সময় শেষ হয় বিকেল ৫ টার পর।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের নাম ওয়েস্ট মিনিস্টার হল এবং পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের নাম হাউস অব লর্ডস। তবে দেশটির জাতীয় রাজনীতিতে নিম্নকক্ষেরই প্রভাব বেশি।
আগে ৪ জন বিদেশি শীর্ষনেতা হাউস অব কমন্সের আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়েছেন। তারা হলেন— সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যানজেলা মের্কেল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জেলেনস্কি হতে যাচ্ছেন এই তালিকার ৫ম ব্যক্তি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলেনস্কির ভাষণ রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; কোনো ব্রিটিশ আইন প্রণেতা যদি কোনো কারণে মঙ্গলবারের এই ভাষণ শুনতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে তিনি যেন পরবর্তীতে তা শুনে নিতে পারেন।
হাউস অব কমন্সের স্পিকার লিন্ডসে হোয়েলি এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলেন, ‘এটি পার্লামেন্টের আইন প্রণেতাদের জন্য একটি বড় সুযোগ। কারণ, তিনি ইউক্রেন থেকে লাইভে কথা বলবেন এবং হাউস অব কমন্সের প্রত্যেক আইন প্রণেতাই তার বক্তব্য শুনতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন এতদিন।’
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেন ওয়ালেস ব্রিটেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমরা সবাই জেলেনস্কির বক্তব্য শুনতে আগ্রহী, কারণ তিনি ইউক্রেনের বর্তমান অনুপ্রেরণা, তিনি তরুণ, মুক্তচিন্তার অধিকারী এবং সর্বোপরি, তিনি নিজেকে একজন ইউরোপীয় মনে করেন— যা পুতিন কখনও নিজেকে মনে করেন না।’