বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি চলছে। অপরদিকে সারা বিশ্বে বিরাজ করছে এক যুদ্ধাবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ৫০ জনের এক বিশাল বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে কী কারণে আরব আমিরাতে যাচ্ছেন এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।’
শনিবার (৫ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে বিশেষ করে আরব আমিরাতে শেখ হাসিনার ঘন ঘন সফরের রহস্য কী? আমরা আশা করি, সরকারের মন্ত্রীরা বিষয়টি জনগণের সামনে খোলাসা করবেন। গত এক যুগে শেখ হাসিনা কেন বারবার আরব আমিরাত সফর করছেন তার নেপথ্যে কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে কি না সাহস থাকলে সেটিও জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন।’
সরকার এখন শেষ বেলায় এসে নিত্যপণ্যের বাজারে ডাকাতি শুরু করেছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘করোনার অভিঘাতে বিপর্যস্ত মানুষ জীবনযুদ্ধে পরাজিত সৈনিকের মতো ধুঁকে ধুঁকে চলছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি নীরবে অশ্রুপাত করছেন। অল্প দামে পণ্য বিক্রির সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকের পাশে লাইনে ক্ষুধার্ত মানুষের মিছিল চলছে।’
সরকার নিজেদের সিন্ডিকেটের হাতে বাজার লুটপাটের লাইসেন্স দিয়েছে বলে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা দ্রব্যমূল্য নিয়ে মশকরা করছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছুই করার নেই। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলছেন, বর্তমান সরকারের ১৩ বছরে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য খুব কমই বেড়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী লোকদের, এ কথাটি তথ্যমন্ত্রী এড়িয়ে গেছেন।’
গত বৃহস্পতিবার ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ইলিয়াসকে তুলে নিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত তার কোনো হদিস মিলছে না। সে ডিবি পুলিশের কাছেই আছে, কিন্তু তারা সেটি স্বীকার করছে না। তাকে অবিলম্বে জনসমক্ষে হাজির করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।’
এছাড়া আজ মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন লৌহজং উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ হামলা চালিয়ে ২৫-৩০ জন নেতাকর্মীকে আহত ও একজন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।