ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। রুশ বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাল্টা প্রতিরোধও গড়ে তুলেছে ইউক্রেনেরা সেনারা। অব্যাহত এই লড়াই তথা হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে গোলাগুলিতে কিয়েভে ছয় বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও বিবিসি। শনিবার মধ্যরাতে উভয়পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে ওই শিশু নিহত হয়। চলমান সংঘর্ষে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মধ্যেই সর্বশেষ নিহত এই শিশুটি সবচেয়ে অল্পবয়সী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া কিয়েভের ওখমাতদিত হাসপাতালের বরাত দিয়ে সিএনএন আরও জানিয়েছে, তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে শহরের আরও বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে ঢুকে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিকে অন্যতম বড় হামলার ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।
রুশ সেনাদের হামলার মুখে পিছিয়ে নেই ইউক্রেনও। দেশটির দাবি, রাশিয়ার দু’টি বড় পরিসরের সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে তারা। অন্যদিকে ভূপাতিত করা এই বিমান দু’টিতে ৩০০ জন পর্যন্ত রুশ সেনা অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ২০০ রুশ সেনাকে বন্দি করা হয়েছে। ইউক্রেনের এই দাবি অবশ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।