সিলেট: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য সার্চ কমিটিতে নাম না দিয়ে বিএনপি ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক।
তবে সার্চ কমিটিতে নাম না দিলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট বিসিক শিল্প নগরীতে কৃষিযন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্চ কমিটিতে বিএনপি নাম দেয়নি, তাতে কিছু যায় আসে না। তারা না দিলেও অনেকেই নাম দিয়েছে। এসব নাম থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন হবে।
তবে বিএনপি সার্চ কমিটিতে না এসে যদি আন্দোলন করে তারা কোনোদিনও সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। দেশের গণতন্ত্র চরমভাবে অনিশ্চয়তায় পড়েছিল। তারা জঙ্গিদের উত্থানে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছিল।
তারা (বিএনপি) কাকে নিয়ে আন্দোলন করবে? প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলন করতে হলে তো জনসমর্থন লাগে। তাদের সেই জনসমর্থনও এখন আর নেই। আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপিকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া উচিত। নির্বাচনে জিতে আসতে পারলে আমরা তাদের অভিনন্দন জানাবো।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডিয়ামের সঙ্গে মতবিনিময় করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য সার্চ কমিটিতে নাম দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের দেওয়া নামগুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও পেশাজীবী সংগঠন নাম দিয়েছে। তারাও হয়তো আওয়ামী লীগের দেওয়া নামের চেয়ে অনেক যোগ্য ও নিরপেক্ষ মানুষের নাম দিয়েছে। এর মধ্য থেকে যোগ্য ও ভালো ব্যক্তিদের দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। যার মাধ্যমে এমন একটি নির্বাচন কমিশন পাবো যারা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিবে। ’
পৃথিবীতে সমস্যা যতো বড়ই হোক না কেন, সমাধানে আলোচনার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা যত বড় হোক, যতই শত্রুতা থাক। সমাধানের জন্য আলোচনায় বসতে হবে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতেও পুতিন ও বাইডেন টেলিফোনে কথা বলছেন। কাজেই বিএনপি যে ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে তা অরাজনৈতিক ও অগঠনমূলক। ’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) জাতির অনেক ক্ষতি করেছে। রেললাইন তুলেছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে, মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। এসব করে তাদের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ হয়নি। সন্ত্রাস করে তারা ২০১৫ সালে একই পন্থায় সরকারের পতন চেয়েছিল। সেই আগুনে পুড়ে তাদের অনেকেই মারা গেছেন। এখনো অনেকে দগ্ধভাবে কষ্টকর জীবন যাপন করছেন।